মাদকসেবীকে বাঁচাতে সহকারী প্রক্টরকে লাঞ্ছনা, অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা জহির

 

গোবিপ্রবি প্রতিনিধি:

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোবিপ্রবি)-এর সহকারী প্রক্টর ও কৃষি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলামকে লাঞ্ছনার অভিযোগ উঠেছে মার্কেটিং বিভাগের ২০১৬–১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও গোবিপ্রবি ছাত্রদলের সহ-সভাপতি জহিরের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুযায়ী, মাদকসেবনে অভিযুক্ত এক শিক্ষার্থীকে বাঁচাতেই তিনি সহকারী প্রক্টরের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ধাক্কাধাক্কি করেন।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাত ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঘটনাটি ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাল কমপ্লেক্সের পাশে কয়েকজন শিক্ষার্থী মাদকসেবন করছিলেন। প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্যরা সেখানে পৌঁছালে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। এসময় সহকারী প্রক্টর আরিফুল ইসলাম গেটের বাইরে একজন শিক্ষার্থীকে আটক করে মাদকসেবনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে জহির উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং একপর্যায়ে সহকারী প্রক্টরকে ধাক্কা দিয়ে সেই শিক্ষার্থীকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন।

পরে প্রক্টর অফিসে উপস্থিতদের সামনে জহির বলেন, “একজন শিক্ষক কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বাইরে কাউকে হাত ধরে আটকাতে পারেন? একজন শিক্ষার্থীকে এভাবে অপমান করার অধিকার তাঁর নেই। আমি শিক্ষার্থীর অপমান সহ্য করতে পারিনি।”

এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর মো. আরিফুল ইসলাম জানান, মুরাল কমপ্লেক্সের পশ্চিম পাশে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বসে থাকতে দেখে সন্দেহ হলে তারা এগিয়ে যান। সেখানে মাদকসেবনের গন্ধ পেয়ে পালানোর সময় একজনকে আটক করা হয়। তিনি আরও বলেন, “আটক শিক্ষার্থীকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে কথা বলার কথা বলা হলেও সে পালানোর চেষ্টা করে। ঠিক তখনই জহির এসে আমাকে ধাক্কা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে দেয়।”

ঘটনা প্রসঙ্গে প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আরিফুজ্জামান রাজীব মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আগামী সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডে বিষয়টি তোলা হবে। যেভাবে সিদ্ধান্ত হবে, সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”