শিরোনাম

বগুড়ায় পুলিশ সদস্যের আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস! অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে আরও ভয়ংকর তথ্য

বগুড়া প্রতিনিধিঃ

বগুড়ায় কর্মরত এক সাব-ইন্সপেক্টরের আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। 

ডিউটিরত অবস্থায় পুলিশি পোশাক পরে ভিডিও কলে এক নারীর সঙ্গে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করার ওই ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ ওই পুলিশ সদস্য সাব-ইন্সপেক্টর আবদুল্লাহ আল মামুন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিবগঞ্জ থানায় চাকরিরত অবস্থায় মামুন বিভিন্ন সময় দায়িত্ব পালনের ফাঁকে ভিডিও কলে নারীদের সাথে আপত্তিকর আচরণে জড়াতেন। শুধু ভিডিও কলেই নয়, শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ফুটেজও এসেছে চ্যানেল টেনের হাতে—যা পুরো ঘটনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিবগঞ্জ থানার এক পুলিশ সদস্য বলেন,“সাব-ইন্সপেক্টর আবদুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে একাধিক নারীর অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। সে নারীলোভী স্বভাবের এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করেই এসব সম্পর্ক তৈরি করত।”

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ আরও ভয়াবহ। তিনি জানান,“আমার পারিবারিক সমস্যার বিষয়ে আমি শিবগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করি। সেই অভিযোগের তদন্ত পান মামুন। আমার স্বামী বিদেশে থাকায় তিনি সুযোগ নিয়ে আমাকে একাধিকবার অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন এবং বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করেন।” তবে আমি রাজি না হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে সাব-ইন্সপেক্টর আবদুল্লাহ আল মামুন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে বিভিন্ন পুলিশ সদস্য ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ব্যবহার করে সংবাদ প্রকাশ না করতে বলে এবং এই প্রতিবেদককে টাকার প্রস্তাবও দেন সাব ইন্সপেক্টর আব্দুল্লাহ আল মামুন। 

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৪ অক্টোবর হাতকড়াসহ আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাব-ইন্সপেক্টর মামুনকে শিবগঞ্জ থানা থেকে প্রত্যাহার করে বগুড়া পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে আগেও দায়িত্বে অবহেলা ও আচরণগত নানা অভিযোগ ছিল বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।

ঘটনার সত্যতা যাচাই ও ভিডিওর উৎস শনাক্তে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করবে বলে প্রত্যাশা করছেন স্থানীয়রা।

No comments