গ্রাহকের কোটি টাকা আত্মসাৎ করে অগ্রণী ব্যাংক এজেন্ট শাখার মালিক যুবলীগ নেতা পালাতক
কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
জাহাপুর অগ্রণী ব্যাংক শাখার এজেন্ট মালিক আবু সাইদ ১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে গত ১ মাস ধরে পালিয়ে রয়েছে। এই গঠনার পর থেকে প্রত্যেক গ্রাহকের এর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জাহাপুর অগ্রণী ব্যাংক শাখার এই এজেন্ট শাখাটি মালিক ছিলো যুবলীগ নেতা আবু সাইদ। তিনি বিগত আওয়ামীলীগ সরকার এর আসল এলাকায় খুবই প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসাবে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। ৫ আগষ্ট সরকার পতন পর থেকে কিছু দিন পালাতক ছিলো পরে আবার এলাকায় এসে তার ব্যক্তি মালিকানা অগ্রণী ব্যাংক এজেন্ট এর সকল গ্রহকের টাকা আত্মসাৎ করে এখন বেশকিছু দিন আত্মগোপন রয়েছে বলে জানা যায়। পরে এই বিষয়ে খোজখবর নিতে গেলে এজেন্ট শাখার গিয়ে দেখা যায় এজেন্ট শাখাটি তালিকা বদ্ধ।
ভোক্তভোগীরা মধ্যে পারভীন ( পিতা সাহেব আলী) বলে আমার ৬ লক্ষ টাকা এফডিআর ও একাউন্ট এ জমানো টছিলো। জমা রশিদ গুলো এজেন্ট এর সীল ও স্বাক্ষর ছিলো কিন্তু তখন আমি জানতে ও বুঝতে পারিনি যে এইগুলো ভুয়া। পরে যখন আমি টাকা উঠাতে যাই এজেন্ট শাখা ব্যাংক এ তখন গিয়ে দেখি এজেন্ট শাখা বন্ধ ও তালাবদ্ধ দেখতে পাই। পরে জাহাপুর অগ্রণী ব্যাংক শাখা চেকবই ও একাউন্ট দিয়ে টাকা দেখতে চাই শাখা ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন আপনার একাউন্ট কোন টাকা জমা হয়নি। ততক্ষণী আমি যোগাযোগ করতে এজেন্ট শাখার মালিক কে মোবাইল ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে যুবলীগ নেতা আবু সাইদ এর পক্ষ হয়ে প্রত্যেক গ্রাহকে হুমকি দামকি দেওয়া হচ্ছে কিছু লোক যদি থানায় মামলা ও অভিযোগ দায়ের করলে টাকা দিবে না এবং বিভিন্ন হুমকি দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের কে।
আরেক ভুক্তি ভোগী খাদিজা আক্তার স্বামী আলাউদ্দিন সাংবাদিক কে জানান যে তার ১০ লক্ষ এফডিআর ৮ লক্ষ ৫০ হাজার একাউন্ট সহ মোট ১৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা একাউন্ট এ ভুয়া জমা রশিদ দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে যুবলীগ নেতা আবু সাইদ ও সানজিদা আক্তার এজেন্ট ব্যাংক সহকারী ।
ডলি আক্তার পিতা: মৃত আবদুর রশিদ ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ভুয়া রশিদ মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করে আবু সাইদ ও তার ব্যাংক সহযোগী সানজিদা আক্তার। এমন আরো অসংখ্য একাউন্ট এর ভুয়া রশিদ দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে।
এই বিষয়ে এজেন্ট শাখার সানজিদা আক্তার কে জিগাস্যা করলে তিনি বলেন আমি কোন টাকা আত্মসাৎ করি নাই আমার দিয়ে টাকা গুলো কালেকশন করাতেন তখন আমি জানতাম না যে তিনি একাউন্ট জমা না দিয়ে প্রতারণা করবেন। আমি সানজিদা আক্তার এক টাকা ও গ্রাহকের টাকা নেইনি আমি চাকরি করিছি বেতন ভুক্ত শুধু এর বাহিরে কিছু না। যতো টাকা আত্মসাৎ হয়েছে সবগুলো আবু সাইদ নিয়েছে।
এই বিষয়ে এলাবাসী বলেন যে কিভাবে আর মানুষ কে এবং ব্যাংক কে বিশ্বাস করে টাকা রাখবো। এভাবে প্রতারণা করলে টাকা আমরা দেশের সম্পাদক নিরাপদ রাখার জন্য ব্যাংক এ রাখা হয় ব্যাংক ও ই যদি লোক যদি টাকা নিয়ে উদাও হয়ে যায় আমরা এখন কি করবো।
আমরা এলাকাবাসী চাই এই বিষয়ে প্রশাসন ও অগ্রণী ব্যাংক শাখার প্রশাসন যেন দ্রুত আইনের মাধ্যমে যুবলীগ নেতা আবু সাইদ কে বিচার এর মুখোমুখি করে। যাত অন্য কে এমন সাহস না করে তার বিচার দেখে।

No comments