শিরোনাম

বগুড়া-৫ (ধুনট-শেরপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশায় আলোচনার শীর্ষে এ.কে.এম তৌহিদুল আলম মামুন



আব্দুল মোমিন বগুড়াঃ

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বগুড়া-৫ (ধুনট-শেরপুর) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে অন্যতম আলোচনায় রয়েছেন, বগুড়া জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক, ধুনট উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ.কে.এম তৌহিদুল আলম মামুন।

দলের দুঃসময়ে যিনি শুধু রাজপথে ছিলেন না, ছিলেন কারাগারেও। নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ছায়ার মতো। তাঁর জীবনজুড়ে রয়েছে ত্যাগ, সাহস আর নিষ্ঠার গল্প।

দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের খোঁজখবর রাখা, কারাবন্দি পরিবারের পাশে দাঁড়ানো কিংবা অসহায়দের দুঃসময়ে সাহায্যের হাত বাড়ানো—এসব যেন তাঁর প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ঈদ-রমজানে যখন সবার ঘরে আনন্দ, তখন মামুন ছুটে যান সেই পরিবারগুলোর কাছে, যাদের ঘরে হয়তো হাসির কোনো আলোর রেখা নেই।

তাঁর রাজনীতি চেয়ারে বসে নির্দেশ দেওয়ার নয়—তাঁর রাজনীতি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাওয়া। গ্রামের হাটে-মাঠে, মসজিদের পাশে কিংবা অসুস্থ নেতার বিছানার কাছে—সবখানেই তৌহিদুল আলম মামুনকে দেখা যায় আপন মানুষের মতো।

স্থানীয় এক প্রবীণ বিএনপি কর্মী বলেন, “এই এলাকার মানুষ মামুনকে ভালোবাসে, কারণ সে নেতা নয়—সে আমাদের ঘরের ছেলে। বিপদের সময় একবার পাশে দাঁড়ালে সেই মানুষটা চিরদিন মনে রাখে, আর মামুন তো প্রতিনিয়তই আমাদের পাশে।”

ধুনট উপজেলার এক নারী বলেন, “আমার স্বামী রাজনৈতিক মামলায় জেলে ছিল, সবাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, মামুন সাহেবই একমাত্র এসে সাহায্য করেছিলেন। এমন মানুষকে এমপি হিসেবে দেখার স্বপ্ন দেখি আমরা।”

এ প্রসঙ্গে এ.কে.এম তৌহিদুল আলম মামুন বলেন,
“আমি রাজনীতি করি দায়িত্ববোধ থেকে, লোভ-লালসা থেকে নয়। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ভাই যদি আস্থা রাখেন, তবে আমি —জীবন বাজি রেখেই মানুষের পাশে থাকব। ধুনট-শেরপুরের মানুষ আমায় ভালোবাসে, সেই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চাই কাজ দিয়ে, আত্মত্যাগ দিয়ে।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ধুনট-শেরপুর আসনে মামুনের মতো জনবান্ধব ও সংগঠক নেতার বিকল্প নেই। তৃণমূলের অকৃত্রিম ভালোবাসা আর মাঠ পর্যায়ের শক্ত ভিত্তি নিয়ে তিনি যদি মনোনয়ন পান, তাহলে এই আসনে বিএনপি একটি বড় জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।

No comments