বগুড়ায় যুবদল সভাপতির ওপর মুখোশধারীদের বর্বর হামলা: জেলা যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল
বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়া সদর উপজেলা যুবদলের সভাপতি অতুল চন্দ্র দাস সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। মুখোশ পরা একদল দুর্বৃত্ত তার ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে। মারাত্মকভাবে আহত অবস্থায় তাকে বগুড়া থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে জেলা যুবদল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের শহীদ খোকন পার্ক এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভে অংশ নেয় জেলা যুবদলের শতাধিক নেতাকর্মী, যাদের স্লোগানে শহর প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন বগুড়া জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান। তিনি হামলাটিকে পূর্বপরিকল্পিত বলে উল্লেখ করে বলেন, "এই বর্বরোচিত হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় না আনলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।"
মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হক পান্না, সবুজ দেওয়ান, যুগ্ম সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম রিমন, ইমরান হোসেন, জুম্মান শেখ, রাশেদুল কবির রাশেদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম শাফিন, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ সুজন, প্রচার সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাশেদসহ অনেকে।
এছাড়া ছাত্রদল ও শহর যুবদলের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান, সাধারণ সম্পাদক এম আর হাসান পলাশ, শহর যুবদলের সভাপতি আহসান হাবীব মমি, সাধারণ সম্পাদক আদিল শাহরিয়ার গোর্কি প্রমুখ।
ঘটনার সূত্রপাত হয় বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে। অতুল চন্দ্র দাস শহরের দলীয় কার্যালয় থেকে নিজ বাড়ি সাবগ্রামে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সাবগ্রাম হাট এলাকায় একটি ফার্মেসিতে থামেন ওষুধ কেনার জন্য। ঠিক তখনই কয়েকটি মোটরসাইকেলে মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্ত তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে। স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা গুলি ছুঁড়ে চম্পট দেয়।
পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাতেই ঢাকায় স্থানান্তর করা হয় এবং ঢাকা মেডিকেলে তার জরুরি অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।
এদিকে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং চিকিৎসার সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান বাসির বলেন, “হামলার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত চলছে। গুলির বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

No comments