মিথ্যা অপবাদ নিয়ে ডিপজলের ব্যাখ্যা: ‘আদালতেই সত্য প্রমাণিত হবে’
ডিপজল জানান, মামলার আইনি জবাব তিনি আইন অনুযায়ী দেবেন এবং সত্য আদালতেই প্রকাশ পাবে। তিনি বলেন, নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী তিনি সবসময়ই তাঁর বোনদের সম্মান, সহযোগিতা এবং সহায়তা করে এসেছেন—যা তাঁর এলাকার মানুষ এবং পরিচিত সবাই জানেন।
তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর এক বোন ক্যামেরার সামনে কাঁদতে কাঁদতে বলেছেন যে, অসুস্থ সন্তানের খোঁজ কেউ নেননি। অথচ সেই সন্তানের চিকিৎসার জন্য তিনি নিজে বড় অংকের আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা ভারতের একটি হাসপাতালে পর্যন্ত করেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘পর্দায় অভিনয় করি, বাস্তবে নয়। যদি জানতাম এমন পরিস্থিতি আসবে, প্রমাণ রেখে দিতাম।’
আরেক বোনের দাবি—১১ বছর ধরে তাঁর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। ডিপজল বলেন, মাত্র দুই মাস আগেই তিনি ওই বোন ও তাঁর সন্তানকে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ সাহায্য করেছেন। এর আগেও নানা সময়ে তিনি তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন।
ডিপজলের প্রশ্ন, ৩৫ বছর পর হঠাৎ করে কেন এমন অভিযোগ তোলা হচ্ছে এবং কার প্ররোচনায় তারা এসব বলছে। তিনি বলেন, যদি সত্যিই কোনো দাবি থাকত, সরাসরি বললেই তিনি তার দ্বিগুণ-তিনগুণ দিতে প্রস্তুত ছিলেন।
তিনি আরও জানান, যেই বোন পর্দা মেনে চলেন বলে প্রতিটি অনুষ্ঠানে তাঁর জন্য আলাদা কক্ষের ব্যবস্থা করা হতো—সেই বোনের মুখ থেকেও আজ এমন অভিযোগ শোনা কষ্টদায়ক।
ডিপজল দেশবাসীকে অনুরোধ করেন, মামলার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার জন্য। তিনি বলেন, যদি আইন অনুযায়ী তাঁর বোনরা কোনো সম্পত্তির মালিক হন, তারা অবশ্যই তাদের প্রাপ্য অংশ পাবেন।
শেষে তিনি লেখেন, তিনি খুব অসুস্থ এবং জীবনে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সবসময়ই ভাইবোনদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন। এখন জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তাদের এমন আচরণ তাঁকে মর্মাহত করেছে। তাঁর বিশ্বাস, ‘সম্মান দেওয়ার এবং সম্মান রক্ষার মালিক আল্লাহই—তিনিই উত্তম বিচারক।’

No comments