শিরোনাম

বগুড়ায় অব: মেজর হাকিমের জমি জবর-দখলে দফায় দফায় হানা!

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া:  

বগুড়ার শাজাহানপুরের মাঝিড়া বন্দরে অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোঃ আব্দুল হাকিমের মালিকানাধীন ৪০ বছরের দখলীয় সম্পত্তির উপর দফায় দফায় হানা দিচ্ছে জবরদখলকরীরা। তার জমির পরিমান প্রায় ২.৫ একর। থানায় অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন অবসর মেজর আব্দুল হাকিমের।

জানাগেছে, দীর্ঘ ৪০বছরের বেশী সময় ধরে বগুড়ার মাঝিড়া সেনানিবাস সংলগ্ন আড়াই একর জমি ক্রয় সূত্রে দখল ভোগ করে আসছেন। কিছু জমির উপর দোকানঘর নির্মান করে ভাড়া দিয়ে ভাসছেন।  যা মেজর হাকিম মার্কেট হিসেবে পরিচিত। আর জমির বাকি অংশ টিন বেড়াএবং ইটের বাউন্ডারি দেয়া আছে। টিনের বেড়া ভেঙ্গে গাছপালা কেটে গত ১২ নভেম্বর দশমিক ১৮ শতাংশ জমি দখলের চেষ্টা করে প্রতিপক্ষ। এবিষয়ে মেজর হাকিমের পক্ষে তার কেয়ারটেকার থানায় অভিযোগ দেন। এরপর আবারও মঙ্গলবার (২ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টার পর আবারও হামলা ভাংচুর চালায় দুর্বৃত্তরা।

মেজর হাকিমের জমির কেয়ারটেকার হিসেবে কর্মরত আব্দুস সাত্তার, থানায় অভিযোগ করেন যে—১২ নভেম্বর ২০২৫ বিকাল সাড়ে চারটার দিকে বিবাদী মোছাঃ তাহানাজ , এডভোকেট শহিদুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন ব্যক্তি জমির মধ্যে অবস্থিত ১৮ শতক অংশ জবরদখল করার উদ্দেশ্যে মাপঝোক শুরু করেন। এসময় বাদী প্রতিবাদ জানালে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় এবং জমির ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলা হবে বলে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়। অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে থানা পুলিশ রেকর্ডভুক্ত করেন এবং তদন্ত শেষে ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৭/১১৭ ধারায় ননএফআইআর প্রসিকিউশন আদালতে দাখিল করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে শাজাহানপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আবু তাহের উল্লেখ করেন, অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জানাগেছে, জমির মালিকানা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে এবং যেকোনো সময় পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। তদন্তে ১ম পক্ষ মোঃ আব্দুস ছাত্তারের কাছে দলিল নং ০১/২১ এবং খারিজ সংক্রান্ত কাগজপত্রের ফটোকপি পাওয়া যায়। অন্যদিকে ২য় পক্ষ কোবলা দলিল নং ১৩৬৪৬ (তারিখ ২৭/০৬/২০১৩) মূলে মালিকানা দাবি করে। জমির মালিকানা নিয়ে উভয় পক্ষ নিয়মিত বহিরাগত লোকজন নিয়ে সমাবেশ করায় এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান,  পক্ষগুলোর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে আদালতে বিচারের জন্য ননএফআইআর প্রসিকিউশন  ২৮ নভেম্বর ২০২৫ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাকিমের জমির টিনের বেড়া আবারও রাতের আধাঁরে ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা।

এডভোকেট শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি কারও জমি দখল করতে যাইনি। আমার জমি আমি উদ্ধার করতে গেছি। আমার জমির নিজ নামে মাঠ রেকর্ড, খাজনা ও খারিজ আছে।

মেজর হাকিমের জমির কেয়ারটেকার হিসেবে কর্মরত আব্দুস সাত্তার বলেন, রাতের আধঁরে একদল সন্ত্রাসী টিনের প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলেছে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। এসব সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমি আতঙ্কিত।

No comments