ফয়সাল হোসাইন সনি, বগুড়াঃ
বগুড়ায় সদ্য ঘোষিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–র কমিটিতে অদ্ভুত এক নাম। তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন কৃষকলীগের সদস্য এডভোকেট শহিদুল ইসলামের পরিচয়।
দল–পরিচয়ের এমন সাংঘর্ষিক অবস্থান প্রকাশের পর থেকেই জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা; রাজনৈতিক আড্ডা থেকে চায়ের দোকান—সবখানেই এখন আলোচনার ছায়া ঘন।
কমিটি প্রকাশের পর এনসিপির ভেতর থেকেও ক্ষোভের সুর শোনা যাচ্ছে। কমিটির সদস্য সচিব সুলতান মাহমুদ জানিয়েছেন—“কৃষকলীগের সঙ্গে শহিদুল ইসলামের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হলে সংগঠন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”
তবে রাজনৈতিক মহলে ঘুরে বেড়াচ্ছে আরেকটি প্রশ্ন— মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়েই কি এ কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন শহিদুল ইসলাম?
এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সদ্য প্রকাশিত তালিকায় থাকা তার মোবাইল নম্বরে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। ফোনের অপর প্রান্ত নীরব থেকেছে ঠিক রাজনৈতিক রহস্যের মতোই।
বগুড়ার রাজনীতিতে এই ঘটনা নতুন করে আলোচনার ঢেউ তুলেছে—একজন কৃষকলীগ কর্মী কীভাবে এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে এলো?
এটি কি সংগঠনের তদারকির দুর্বলতা, নাকি রাজনীতির পর্দার আড়ালে আরেকটি লেনদেনের গল্প?
সাধারণ কর্মীদের মাঝেও প্রশ্নের এমন ধাক্কা যে, রাজনীতির মাঠে আবারও স্বচ্ছতার আলো জ্বালানোর দাবি জোরালো হচ্ছে।
উল্লেখ্যঃ সারজিস আলম ও আকতার হোসেন সাক্ষরিত সোমবার ১ ডিসেম্বর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) বগুড়া জেলার আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
No comments