শিরোনাম

বগুড়ায় যমুনা টিভি বয়কটের ঘোষনা দিলেন বিএনপির প্রার্থী মোশাররফ হোসেন

বিশেষ প্রতিনিধি, বগুড়াঃ

বগুড়া-৪ (কাহালু–নন্দীগ্রাম) আসনের বিএনপির প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য এবং জেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল যমুনা টেলিভিশনকে বয়কট করার ঘোষণা দিয়েছেন।

বুধবার রাত ১১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। পোস্টে তিনি লিখেন, “আমার সার্টিফিকেট জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ৩০/১১/২৫ তারিখে পুনরায় সত্যায়ন করেছে। যে মামলার বাদী মাসুদ—সে কী জবানবন্দি দিয়েছে, আর বট বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য যমুনা টিভি কী নিউজ প্রচার করেছে??? ছিঃ ছিঃ ছিঃ। বয়কট যমুনা টেলিভিশন। তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”

বিএনপি নেতা মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন,তিনি ব্যাচেলর অব সোশ্যাল সায়েন্স (বিএসএস) সনদ জালিয়াতি করে ভুয়া সনদ ব্যবহার করে কাহালুর আজিজুল হক মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের সভাপতি পদে নিয়োগ নেন। নাটোরের সিংড়া উপজেলার মো. মাসুদ আলী নিজেকে সেই সনদের “প্রকৃত মালিক” দাবি করে মামলা করেন।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বিচারক সারোয়ার জাহান মামলাটি আমলে নিয়ে নাটোর জেলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলাটি যমুনা টেলিভিশনসহ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন মাধ্যমেও প্রচারিত হয়।

সংবাদ প্রচারের অল্প সময় পরই বাদী মাসুদ আলী মামলা প্রত্যাহার করেন। বিষয়টি মোশাররফ হোসেন নিজেই তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন। সেই পোস্টেই তিনি আবারও যমুনা টিভির সংবাদ প্রচারকে “বট বাহিনীর সহযোগিতা” বলে দাবি করেন।

এদিকে বাদী মাসুদ নতুন দাবি তুলে বলেন— নন্দীগ্রামের ফজলে রাব্বি তোহার প্ররোচনায় তিনি মামলা করেছিলেন। তোহা বিএনপি’র অঙ্গসংগঠন কেন্দ্রীয় ওলামা দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ধানের শীষের এমপি প্রার্থী হিসেবে মোশাররফ হোসেনের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন।

স্থানীয় অনেকের মতে, যেহেতু মামলাটি পিবিআই তদন্তে গিয়েছিল, তদন্তের মাধ্যমে সত্যতা প্রকাশ পেলে বিভ্রান্তি কমত। মামলা প্রত্যাহার করায় বিতর্ক আরও বেড়েছে।

যমুনা টেলিভিশনের বগুড়া প্রতিনিধি মেহেরুল সুজন বলেন, বাদী নিজেই রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন। বাদী ও বিবাদী দু’জনের নম্বর একই হওয়ায় বিষয়টি সংবাদগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাই আমরা উভয় পক্ষের বক্তব্য নিয়ে প্রতিবেদন করেছি। এখানে কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই। বিএনপি নেতা কেন চ্যানেল বয়কট করেছেন—এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়।

No comments