শিরোনাম

কুড়িগ্রাম উলিপুর উপজেলায় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি নিয়ে অসন্তোষ নেতারা-জনমনে ক্ষোভ






কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:কুড়িগ্রাম উলিপুর উপজেলায় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি নিয়ে অসন্তোষ নেতারা-জনমনে ক্ষোভ

উলিপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল পুনর্গঠনকে কেন্দ্র করে ত্যাগী ও দীর্ঘদিন সাংগঠনিকভাবে সক্রিয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে কমিটি গঠন করা হয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মী একযোগে পদত্যাগ করেছেন।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সুস্পষ্ট নির্দেশনা ছিল—বিগত কমিটিতে বহিষ্কৃত নন এবং নিয়মিত সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন এমন নেতা-কর্মীরাই নেতৃত্বে আসবেন। পাশাপাশি নতুনভাবে অন্তর্ভুক্তদের প্রাথমিকভাবে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং তাদের কোনো ভাইটাল বা গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হবে না।

তবে অভিযোগ উঠেছে, উলিপুর উপজেলায় গঠিত নতুন কমিটিগুলোতে এই নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি। দীর্ঘদিন রাজপথে সক্রিয় ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলে নতুন কিংবা দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে উলিপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য রমজানুল ইসলাম নয়ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে বলেন, “এটি শুধু পদত্যাগ নয়, এটি আত্মত্যাগ।” তিনি দাবি করেন, যারা আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের মূল্যায়ন না করে আদর্শগতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ ও অপকর্মে জড়িত ব্যক্তিদের নেতৃত্বে আনা হয়েছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, কমিটি অনুমোদনের ক্ষেত্রে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসানের ঘোষিত নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি। যদিও অভিযুক্ত কয়েকজন নেতা অতীতে অন্য সংগঠনে সক্রিয় ছিলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের জন্য তারা নতুন—তবুও তাদের ভাইটাল পদে বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

এই পরিস্থিতির প্রতিবাদে পদত্যাগকারী পাঁচজন নেতা-কর্মী হলেন,মোঃ আবুলোকমান (জুয়েল)মোঃ মাহামুদুল হাসান (মামুন)মোঃ শাহিন আলম মোহাম্মদ আলী মোঃ হামিদুল ইসলাম

পদত্যাগকারী নেতারা জানান, বিষয়টি কোনো একক ইউনিয়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; উলিপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নেই একই ধরনের অনিয়ম ও অসংগতি ঘটেছে। সে কারণে তারা নির্দিষ্ট কোনো ইউনিয়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ না তুলে সামগ্রিক সাংগঠনিক অনিয়মের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

তারা আশা প্রকাশ করেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে এবং সংগঠনের আদর্শ, শৃঙ্খলা ও রাজপথে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের যথাযথ সম্মান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে।

No comments