শিরোনাম

লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগের ১৭ জন নেতা–কর্মী গ্রেপ্তার

লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ

লালমনিরহাটে বিশেষ অভিযানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৭ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত দুই দিনে জেলার পাঁচটি উপজেলায় সমন্বিত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এই বিষয়ে পুলিশ জানায়—সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তেজনা ও নাশকতার আশঙ্কায় বাড়ানো হয় গোয়েন্দা নজরদারি।

আওয়ামী লীগের চলমান লকডাউন এবং কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কালীগঞ্জের ভুল্যাহাট এলাকায় আকস্মিক ঝটিকা মিছিলের পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপরই পাঁচ উপজেলায় শুরু হয় পুলিশের বিশেষ অভিযান।

এই ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে পূর্বে নাশকতা ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।

পুলিশের উক্ত অভিযানে লালমনিরহাট সদর থেকে ৪ জন, পাটগ্রাম থেকে ১ জন, হাতীবান্ধা থেকে ৬ জন, কালীগঞ্জ থেকে ২ জন এবং আদিতমারী উপজেলা থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল। কালীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম।

লালমনিরহাট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ রায়। তুষভান্ডার ইউনিয়নের ইউপি সদস্য গোলজার হোসেন। সদর উপজেলার হারাটী ইউনিয়নের যুবলীগ কর্মী জাহেদুল ইসলাম।

মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের যুবলীগ কর্মী সিরাজুল ইসলাম এছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের আরও দশজন কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে বিশ্বাস্ত সুএে জানা গিয়েছে

এই বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন অপরাধী যে-ই হোক, দলীয় পরিচয় বিবেচনায় নয়; আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধ দমনে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

পুলিশের বিশেষ এই অভিযানের পর লালমনিরহাটে রাজনৈতিক উত্তেজনা কিছুটা বেড়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখছে।

No comments