বগুড়ায় সমবায় শিল্প সমিতির চেয়ারম্যানের ৪ বছরের কারাদণ্ড
বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বছরের পর বছর ক্ষমতার দাপট, প্রভাব-প্রতিপত্তি আর আইনজীবীর পরিচয়ের আড়ালে যে গোপন সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছিল—অবশেষে তার পর্দা উঠল আদালতে। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তোলা সেই জহুরুল ইসলাম—বগুড়ার সমবায় শিল্প বণিক সমিতির চেয়ারম্যান ও পেশায় আইনজীবী—আজ নেমে এলেন আইনের কাঠগড়ায়।
দুপুরে বগুড়ার দূর্নীতি দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মো. আয়েজ উদ্দিন রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালত কক্ষজুড়ে ছিল টানটান উত্তেজনা। অবশেষে আদালত জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার সম্পদের বৈধতা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
ফলে তাকে দু’টি ধারায় ৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কার্যকর দণ্ডের মেয়াদ হবে ৩ বছর। একই সঙ্গে অবৈধ সম্পদ থেকে অর্জিত ২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের আদেশ দেন বিচারক।
২০১৩ সালে তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ জমা পড়ার পর বেশ কিছুদিন এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। বগুড়ার সাবেক সহকারী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম দীর্ঘ তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল করলে মামলাটি আদালতে গড়ায়। আজ সেই দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হলো।
রায় ঘোষণার পর দুদক আইনজীবীরা বলেন,“যারা ক্ষমতা বা পরিচয়ের আড়ালে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন, এই রায় তাদের জন্য কঠোর বার্তা।”
স্থানীয়দের ভাষ্য—জহুরুলের প্রভাব এতটাই ছিল যে, অনেকেই প্রকাশ্যে মুখ খুলতে ভয় পেতেন। কিন্তু আদালতের রায়ে অবশেষে প্রমাণ হলো, আইনের চোখ এড়ানো যায় না।

No comments