শিরোনাম

ওসি সেরাজুলের গাফিলতিতে দুই দিন ধরে ঝুঁকিতে ছিলেন গ্রামবাসী!


বগুড়া প্রতিনিধিঃ

বগুড়ার গাবতলী মডেল থানার ওসি সেরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গুরুতর গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। বিস্ফোরণের পরও একটি বাড়িতে থাকা স্টিলের তালাবদ্ধ বাক্সে ৩৯টি ককটেল পড়ে ছিল দুই দিন ধরে, অথচ পুরো এলাকা ততদিন ছিল চরম ঝুঁকিতে।

নশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইটালি গ্রামের অলেদা বাজার এলাকার একটি বসতবাড়িতে ২ নভেম্বর সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে ককটেল তৈরি করতে গিয়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আতাউর রহমান সেলিম (৩৫) গুরুতর আহত হন।

বাড়ির ভেতর থেকে বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ।

দুই দিন পর আরেক ‘বিস্ময়’—একই বাড়িতে আরও ৩৯টি ককটেল! ঘটনার ৪ নভেম্বর সকাল ১০টায়, একই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ৩৯টি শক্তিশালী ককটেল। সেনাবাহিনীর বোমা ডিসপোজাল ইউনিট এগুলো নিষ্ক্রিয় করে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো—এগুলো দুই দিন ধরে তালাবদ্ধ বাক্সে ছিল, অথচ পুলিশ তা খুঁজে পেল না কেন?

ওসি সেরাজুল ইসলাম জানান— “বাক্সের চাবি না থাকায় খোলা যায়নি। আসামিও পলাতক ছিল। তাই বিশেষজ্ঞের সহায়তায় দুই দিন পর তালা খোলা হয়েছে।”

কিন্তু স্থানীয়রা বলছেন—বিস্ফোরণের পর অভিযানে বাক্স অরক্ষিত রেখে আসা কতটা দায়িত্বশীল আচরণ? কোনো দুর্বৃত্ত যদি ওই সময় বাক্সের কাছে গিয়ে বোমা সরাত বা সক্রিয় করত—

ভয়াবহ ট্রাজেডি ঘটতে পারত পুরো এলাকায়। দুইদিন ধরে গ্রামবাসীর অঘোষিত আতঙ্ক অলেদা বাজার, ছোট ইটালি, পালশা, নশিপুরসহ আশেপাশের এলাকা—সব মিলিয়ে কয়েক হাজার মানুষ ছিল চরম আতঙ্কে। সম্পূর্ণ অরক্ষিত অবস্থায় ককটেলভর্তি বাক্স পড়ে থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।

আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন স্থানীয়দের অভিযোগ— এমন ঘটনায় থানা পুলিশের প্রস্তুতি, অভিযান মান, তথ্য সংগ্রহ—সবকিছুই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।

ঘটনাটি এখন বড় প্রশ্ন তুলছে— গাবতলীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কি অবনতির দিকে যাচ্ছে? এবং এর মূল কারণই বা কী?

No comments