শিরোনাম

ছাত্র ছাত্রলীগের প্রাক্তন নেতা এখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পদেলীগের প্রাক্তন নেতা এখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পদে





স্টাফ রিপোর্টারঃ

বগুড়ার ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজার ছেলে শান্ত রেজা সাব্বির একসময় ছিলেন সক্রিয় ছাত্রলীগ কর্মী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে তার অসংখ্য ছবি এখনো ঘুরে বেড়ায়। এমনকি স্থানীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষেও তাকে সক্রিয় থাকতে দেখা গিয়েছিল।

তবে হঠাৎ করেই সেই শান্ত রেজা সাব্বির এখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক!

বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৯–২০ সেশনের শিক্ষার্থী সাব্বির আগে কখনো ছাত্রদলের কোনো কর্মসূচিতে অংশ নেননি বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্রদল নেতা। তাদের অভিযোগ, সরকার পতনের পর সাব্বির ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমানের ঘনিষ্ঠ হয়ে সংগঠনে যুক্ত হন।

তাদের আরও দাবি, সাব্বির নিজের অতীত গোপন রেখে কৌশলে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন এবং শেষ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদটি পেয়ে যান। এই ঘটনায় ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের এক সাবেক নেতা বলেন,আমরা যারা দুঃসময়ে সংগঠন টেনেছি, তারা আজ উপেক্ষিত। প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতাকে ছাত্রদলের দায়িত্ব দেওয়া অন্যায়। এটা ত্যাগী কর্মীদের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়।

তিনি আরও জানান, সম্প্রতি চাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল প্রার্থীরা প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জন করতে পারেননি। তার মতে, “যখন ছাত্রদলের ভেতরে বিতর্কিত ব্যক্তিরা জায়গা পায়, তখন কর্মীদের মনোবলও ভেঙে যায়।”

আরেক নেতা বলেন, নবগঠিত কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতির পদটি স্থগিত রাখা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুনকে “শৃঙ্খলাভঙ্গ” এর অভিযোগে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। অথচ অনেকেই মনে করেন, মামুন ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ ছাত্রদল নেতা এবং তিনি ছাত্রলীগপন্থী কাউকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার বিরোধিতা করায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শান্ত রেজা সাব্বির অতীতে বিএনপি বা ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখেননি। তার বাবা আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা হওয়ায় একসময় ধুনট অঞ্চলে বিরোধী দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে নানা হয়রানির অভিযোগও ছিল তাদের বিরুদ্ধে।

এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছে—একজন প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতাকে কীভাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে ছাত্রদলের পদে আনা হলো? কে বা কারা তাকে এই পুনর্বাসনের সুযোগ করে দিলেন?

স্থানীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের বহু নেতাকর্মী ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সাব্বিরকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন, যাতে সংগঠনটি ‘বিতর্কমুক্ত’ থাকতে পারে।


No comments