শিরোনাম

বিদ্যুৎ বিল দ্বিগুণ! নাগেশ্বরীতে গ্রাহকদের ক্ষোভ, রিডারদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ




 কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন নাগেশ্বরী জোনাল অফিসে হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন সাধারণ গ্রাহকরা। চলতি অক্টোবর মাসে অনেকের বিল গত মাসের তুলনায় দ্বিগুণ, এমনকি তিনগুণ পর্যন্ত এসেছে।

গ্রাহকদের অভিযোগ- বিদ্যুৎ মিটার রিডাররা নিয়মিত মিটার রিডিং নিচ্ছেন না, বরং "গড়" হিসেব ধরে বিল তৈরি করছেন। এতে নিয়মিত বিল প্রদানকারীরাও এখন হঠাৎ অস্বাভাবিক পরিমাণ অর্থ পরিশোধে বাধ্য হচ্ছেন।

ভিতরবন্দ, হাসনাবাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানান,

গত মাসে আমার বিল ছিল ২০০ টাকা, এবার এসেছে ১,২০০ টাকা! অথচ বিদ্যুৎ ব্যবহারে কোনো পরিবর্তন হয়নি,

বললেন ভিতরবন্দ ইউনিয়নের সুকানদিঘি বাজারের ব্যবসায়ী অলিলুর রহমান।

একই অভিযোগ জানিয়েছেন ভিতরবন্দ সুকানদিঘি বাজার এলাকার গ্রাহক আহাম্মদ আলী। তার ,

গত মাসে ২০ ইউনিটের বিল ছিল ১২০ টাকা, এবার দেখছি ৬০ ইউনিটে ৩৮৬ টাকা! এই হিসাব কিভাবে হয়?

বাজারের ইসমাইল হোসেনের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। গত মাসে তার মিটারে দেখা গেছে ৩০ ইউনিটে ২০১ টাকার বিল, কিন্তু এবারে ১৪৫ ইউনিট দেখিয়ে ১,২০৯ টাকা বিল করা হয়েছে! একইভাবে আজিজুল ইসলামের গতমাসে ২০ ইউনিট থাকলেও এবারে হঠাৎ ৭০ ইউনিট দেখানো হয়েছে।

অলিলুর রহমান অভিযোগ করে বলেন,

মিটার রিডাররা স্বশরীরে না এসে বিল তৈরি করছে। না হলে এমনটা হতো না। আমরা গড় বিল মেনে নেব না। প্রথম স্লাব অনুযায়ী বিল দিতে হবে, নইলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে নাগেশ্বরী জোনাল অফিসের ডিজিএম কামাল হোসেন বলেন,

যাদের এ সমস্যা হয়েছে, তারা অফিসে এসে যোগাযোগ করুন। আমরা বিষয়টি যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

তবে সচেতন গ্রাহকরা বলছেন, শুধুমাত্র অভিযোগ নিলেই হবে না- রিডারদের কাজের ওপর কঠোর নজরদারি ও পুনঃরিডিং যাচাই করা জরুরি।

তাদের আশঙ্কা, এভাবে বিল দ্বিগুণ আসতে থাকলে সাধারণ মানুষ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে অনিচ্ছুক হয়ে পড়বে, যা সরকারের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করবে।

No comments