হিজলায় কাসেমুল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসায় দুই দিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিল ও দোয়া-মোনাজাত সম্পন্ন
সানাউল্লাহ আস সুদাইস, হিজলা প্রতিনিধিঃ
বরিশালের হিজলা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাসেমুল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসার আয়োজনে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিল ও দোয়া-মোনাজাত সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
২৭ ও ২৮ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে মাদরাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ মাহফিলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত আলেম-ওলামা, শিক্ষক, ছাত্র, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও রাজনৈতিক নেতারা অংশ নেন।
মাহফিলের শুরুতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্বারী জাহিদুল্লাহ আনসারী পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন। পরে “তারুণ্য শিল্পীগোষ্ঠী”র পরিবেশনায় হামদ ও নাত অনুষ্ঠানে এক অনন্য আধ্যাত্মিক পরিবেশ সৃষ্টি করে।
বক্তারা বলেন—আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আব্দুর রহীম দা.বা. বলেন, “এ ধরনের মাহফিল তরুণ প্রজন্মকে দ্বীনের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
আল্লামা নজরুল ইসলাম কাসেমী বলেন, “শিক্ষামূলক ও আধ্যাত্মিক আলোচনা তরুণদের কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক জীবনযাপনের অনুপ্রেরণা জোগায়।”
মুফতী জাফর আহমাদ সাহেব বলেন, “সমাজে নৈতিকতা ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য এ ধরনের আয়োজন অপরিহার্য।”
আলহাজ্ব মাওলানা ওবাইদুর রহমান মাহবুব বলেন, “মাহফিল আমাদের ঐক্য ও ধর্মীয় চেতনা জাগরণের এক শক্তিশালী উদাহরণ।”
মাওলানা আব্দুর রহমান জামী বলেন, “প্রতিটি আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠান সমাজে নৈতিক শিক্ষা ও দায়িত্ববোধের চর্চা জাগায়।”
আলহাজ্ব মাওলানা আবু আব্দুল্লাহ মাহমুদী বলেন, “এ ধরনের আয়োজন সমাজে শান্তি, ঐক্য ও সহযোগিতার পরিবেশ গড়ে তোলে।”
হযরত মাওলানা আবুল হাসানাত কাসেমী বলেন, “মাহফিলের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্গে আধ্যাত্মিকতার অনুশীলন শিখে।”
মাদরাসার মুহতামিম আলহাজ্ব মাওলানা সালাহউদ্দিন খান বলেন,“আমাদের শিক্ষার্থীরা কেবল জ্ঞান অর্জন করছে না, তারা নৈতিক ও আধ্যাত্মিকভাবে বিকশিত হচ্ছে। এই মাহফিল তাদের দ্বীনের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ আরও গভীর করে তুলছে।”
স্থানীয় জনগণ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বলেন, “এ ধরনের আয়োজন এলাকায় কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক জীবনযাপনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এবং তরুণ প্রজন্মের নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
মাহফিলের সমাপনী পর্বে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, ঐক্য ও অগ্রগতির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। নারীদের জন্য ছিল আলাদা বসার ব্যবস্থা।
শেষে সানাউল্লাহ আস সুদাইস, কুরআনী-নুর ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা, বলেন—
“আজকের মাহফিল কেবল আনন্দের অনুষ্ঠান নয়, এটি আমাদের তরুণ প্রজন্মকে ইসলামের শিক্ষা ও নৈতিকতার পথে পরিচালিত করার এক মহতী সুযোগ। সমাজে নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করা এবং কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক জীবনযাপন নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”

No comments