প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পুলিশ সদস্য! জনতার হাতে আটকের পড় বিয়ে

স্টাফ রিপোর্টারঃ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পুলিশের এক কনস্টেবল আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের হাতে আটক হওয়ার পর শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সেই নারীর সঙ্গে কনস্টেবল ইমরুল কায়েসের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ ধুমাইটারী বসুনিয়াটারী গ্রামে। অভিযুক্ত কনস্টেবল ইমরুল কায়েস (৩৪) গাইবান্ধা সদর উপজেলার মালিবাড়ি গোবিন্দপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে। বর্তমানে তিনি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে ইমরুল কায়েস প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করেন। কিছুক্ষণ পর স্থানীয়রা সন্দেহজনক কিছু লক্ষ্য করে ঘরে ঢুকে পড়েন। তখন ইমরুল কায়েসকে ড্রেসিং টেবিলের পেছনে লুকিয়ে থাকতে দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের দুজনকে আটক করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সুমন মিয়া বলেন, “ওই রাতে কনস্টেবল ইমরুল ওই নারীর ঘরে ঢোকেন। অসামাজিক কাজের সময় আমরা গিয়ে দেখি, সে ঘরের ভেতরে লুকিয়ে আছে। পরে তাকে বের করে সবাই আটক করি।”

স্থানীয় ইউপি সদস্য আতোয়ার রহমান বলেন, “সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি পুলিশ সদস্য লুকিয়ে আছেন ড্রেসিং টেবিলের কাছে। তখন তার গায়ে শুধু স্যান্ডো গেঞ্জি ছিল।”

পরদিন সকালে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। মধ্যস্থতাকারী শামসুজ্জামান প্রামাণিক তনু জানান, “দুই পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে প্রবাসী স্ত্রীকে তালাক দেন। পরে পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গে তার বিয়ে দেওয়া হয়।”

বিয়ের পর কনস্টেবল ইমরুল কায়েস তার নতুন স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গ্রাম ছাড়েন।

এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, “এ ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। কেউ থানায় এসে অভিযোগ দেয়নি।”