সমাজসেবা ও নেতৃত্বে অনন্য এক তরুণ মুখ, জিন্নাহুর রহমান রাকিব
বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়া জেলা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির এক শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। আন্দোলন, সংগ্রাম ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে এ জেলার নাম গৌরবের সঙ্গে উচ্চারিত হয়ে আসছে। এই ধারাবাহিকতায় ধুনট উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন সংগঠক, সমাজকর্মী ও ছাত্রদল নেতা জিন্নাহুর রহমান রাকিব।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে এলএল.বি অধ্যয়নরত রাকিব একজন নিয়মিত ছাত্র। তবে শুধু শিক্ষার্থীই নয়, তিনি সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডেও রেখেছেন ব্যাপক দৃষ্টান্ত। আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লায়ন্স ক্লাবের ছাত্র-যুব শাখা লিও ক্লাবের লিও জেলা ৩১৫ A2-এর নর্থ বেঙ্গল কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। পাশাপাশি, নিজ গ্রামের মানুষদের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠা করেছেন স্বেচ্ছাসেবী ক্লাব ও “আলোর দিশারি” নামক একটি পাঠাগার।
রাকিব বর্তমানে বগুড়া জেলা ও ধুনট উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি সমাজ উন্নয়নে সক্রিয় অংশগ্রহণ তাঁকে ছাত্র সমাজের কাছে একজন প্রগতিশীল, উদ্যমী ও দায়িত্বশীল নেতায় পরিণত করেছে।
রাজনীতির লক্ষ্য ক্ষমতা নয়, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা
সভাপতি পদপ্রার্থী রাকিব মনে করেন, রাজনীতির মূল লক্ষ্য কেবল ক্ষমতা অর্জন নয় বরং মানুষের অধিকার রক্ষা ও গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা। তার মতে, রাজনীতি হতে হবে জনমানুষের কল্যাণের জন্য। এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি ইতোমধ্যে বহু সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল কর্মীর কাছে তাকে অনুপ্রেরণার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
“শক্তিশালী সংগঠনই আন্দোলনের প্রাণ”
রাকিব বলেন, “ছাত্রদলকে প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও গ্রামে ছড়িয়ে দিতে হবে। সংগঠন যত শক্তিশালী হবে, আন্দোলন তত সফল হবে। ছাত্রদলই হবে বিএনপির মূল চালিকাশক্তি।”
তিনি মনে করেন, সংগঠনের প্রতিটি সদস্যকে সক্রিয় করা, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত রাখা সময়ের দাবি।
তরুণদের রাজনীতিতে ফেরানো সময়ের দাবি
বর্তমানে তরুণ সমাজের রাজনীতি বিমুখতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাকিব বলেন, “তরুণদের ছাড়া রাজনীতি টিকে থাকতে পারে না। যুব সমাজ হতাশ হলে জাতি অন্ধকারে ডুবে যাবে। তাই তাদের রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনা জরুরি।” তিনি মনে করেন, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, ন্যায়বিচার ও সুশাসনের প্রশ্নে তরুণরা আজ বিএনপির দিকেই তাকিয়ে আছে।
“ঐক্য ছাড়া সফল আন্দোলন সম্ভব নয়”
রাকিব বলেন, “বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো নানা চাপে থাকলেও আমাদের প্রথম কাজ হতে হবে ঐক্য স্থাপন। ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করলেই আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথে এগিয়ে যেতে পারবো।”
“মানুষের আস্থা অর্জন করাই রাজনীতির মূল ভিত্তি”
ভবিষ্যৎ আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে রাকিব বলেন, “শুধু স্লোগান দিলেই হবে না, বাস্তবে মানুষের দুঃখ-কষ্টের পাশে দাঁড়াতে হবে। জনগণ যদি মনে করে আমরা তাদেরই সন্তান, তবে তারা আমাদের সঙ্গেই থাকবে।”
তিনি আশাবাদী যে, ধুনট উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হলে তিনি ছাত্র রাজনীতির এক মডেল ইতিহাস গড়ে তুলবেন।
জিন্নাহুর রহমান রাকিব একজন ছাত্রনেতা, সমাজকর্মী ও তরুণ সংগঠক হিসেবে ধুনট উপজেলা ছাত্রদলের নেতৃত্বে আসার প্রত্যাশা করছেন। তার বহুমাত্রিক কর্মকাণ্ড, সংগঠনের প্রতি দায়বদ্ধতা ও মানবিক চিন্তাভাবনা তাকে অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে অনন্য করে তুলেছে। তিনি যদি নির্বাচিত হন, তবে ধুনটের ছাত্র রাজনীতিতে একটি নতুন যুগের সূচনা হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।

No comments