শিরোনাম

১৭ বছরে ৭০টি মামলা, তবুও রাজপথ ছাড়েননি ধুনট বিএনপি সভাপতি তৌহিদুল আলম মামুন! আন্দোলনে অগ্রভাগে নেতৃত্ব, দুঃসময়ে কর্মীদের পাশে ছায়ার মতো ছিলেন ত্যাগী এই নেতা

 

ছবি সংগ্রহীত 

বগুড়া প্রতিনিধি:
দীর্ঘ ১৭ বছরের রাজনৈতিক অস্থিরতা, দমন-পীড়ন, কারাবরণ, মামলার হুমকি,সব কিছুই ছাপিয়ে এক অনড়, অটল নেতৃত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছেন বগুড়ার ধুনট উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এ কে এম তৌহিদুল আলম মামুন। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে ৭০টিরও বেশি মামলা। তবুও রাজপথ ছাড়েননি একদিনের জন্যও।

তাঁর রাজনৈতিক জীবনে রয়েছে শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের অসংখ্য দৃষ্টান্ত, পুলিশের হেফাজতে কঠিন সময় পার করা এবং আন্দোলনের ময়দানে সাহসী নেতৃত্ব প্রদানের অনন্য নজির। এ কে এম তোহিদুল আলম মামুন আজ তৃণমূল থেকে শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ একজন নেতার নাম, যিনি সংকটে ছিলেন পাশে, দুঃসময়ে ছিলেন সম্মুখভাগে।

তোহিদুল আলম মামুন নিজেই বলেন,

গত ১৭ বছরে আমার নামে ৭০টির মতো মামলা হয়েছে, জেলেও যেতে হয়েছে। কিন্তু দলের আদর্শ আর নেতাকর্মীদের ভালোবাসা আমাকে চালিয়ে নিয়েছে। আন্দোলনের সময় কখনো পিছিয়ে থাকিনি। সব সময় রাজপথে ছিলাম, এখনো আছি।


বিশেষ সূত্র জানায়, তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর প্রায় সবকটিই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, রাজনৈতিক প্রতিশোধের অংশ হিসেবে এসব মামলা করা হয়েছে। একাধিকবার পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তাঁর ওপর চালানো হয়েছে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।

সাম্প্রতিক ২৪শে গণঅভ্যুত্থান এবং ৫ আগস্টের কর্মসূচিতেও তাঁর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত সাহসী ও সংগঠকসুলভ। তিনি শুধু উপস্থিত ছিলেন না, বরং প্রতিটি কর্মসূচিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন তিনি।

স্থানীয় একজন নেতাকর্মী বলেন,

মামুন ভাই শুধু সভাপতি নন, তিনি আমাদের অভিভাবক। দলে যখন কেউ বিপদে পড়ে, তিনি আগে এগিয়ে আসেন। আমাদের সংগঠনের ভিত্তি হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি।


জানাগেছে, তৃণমূলে তাঁর জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়। দলের দুর্দিনে তিনি নেতাকর্মীদের বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন, পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর সংগ্রামী পথচলার জন্য তাঁকে নেতাকর্মীরা ‘আস্থার প্রতীক’ ও ‘লড়াইয়ের অগ্রনায়ক’ হিসেবে অভিহিত করেন।

বিএনপির অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়ার স্নেহধন্য এবং তারেক রহমানের আস্থাভাজন এই নেতা শুধু বগুড়ায় নয়, গোটা উত্তরবঙ্গে দলের অন্যতম বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত। শত মামলা, হামলা ও গ্রেপ্তারের মুখেও তাঁর মনোবল কখনো ভাঙেনি। বরং প্রতিটি নির্যাতন তাঁকে আরও দৃঢ় ও অগ্রসর করেছে।

তোহিদুল আলম মামুন বিশ্বাস করেন,

জাতীয়তাবাদী দর্শনের মূল ভিত্তি হলো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ। ‘সবার আগে বাংলাদেশ’—এই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। অন্যায়ের সঙ্গে আপস নয়, সত্যের পক্ষে আপসহীন সংগ্রামই আমাদের বিজয়ের পথ দেখাবে।


রাজপথের এই সংগ্রামী নেতা শুধু রাজনীতিক নন, সাধারণ মানুষের কাছেও একজন নির্ভীক, সহানুভূতিশীল এবং প্রগতিশীল নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি। ত্যাগ, নিষ্ঠা ও সাহসিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তোহিদুল আলম মামুন স্থানীয় রাজনীতিতে একটি অনন্য নাম হয়ে উঠেছেন।

চায়ের দোকান থেকে শুরু করে পাড়া কিংবা মহল্লায় ছোট বড় সবাই এক নামে চিনে তাকে। আর স্থানীয়রা এমন নেতা নেতৃত্বে দেখতে চান।

No comments