শিরোনাম

ভুয়া সনদ কেলেঙ্কারির পর এবার ৫০ লাখ টাকার কাবিনে বিয়ের অভিযোগ সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে

 

অভিযুক্ত আফরিন সুলতানা লিয়া










স্টাফ রিপোর্টারঃ

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার উত্তর সুন্দরখাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আফরিন সুলতানা লিয়ার বিরুদ্ধে ফের নতুন করে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। এর আগে ভুয়া চিকিৎসা সনদ ব্যবহার করে দীর্ঘ মেয়াদি ছুটি নেওয়ার ঘটনায় আলোচনায় আসা এ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এবার অভিযোগ—এক সরকারি কর্মকর্তাকে কৌশলে ফাঁদে ফেলে ৫০ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করার অভিযোগ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৬ অক্টোবর (২০২৪) ঢাকার হাজারীবাগ এলাকায় কাজী মাহবুবুর রশিদ নামে এক সরকারি কর্মকর্তাকে জোরপূর্বক বিয়ে করেন আফরিন সুলতানা লিয়া। ওই সময় কাবিননামায় ৫০ লাখ টাকা ধার্য করা হয়। তবে পরবর্তীতে পারিবারিক কলহ দেখা দিলে চলতি বছরের ১৩ মে (২০২৫) ওই কর্মকর্তা শিক্ষিকাকে তালাক দেন।

ভুক্তভোগীর দাবি, বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন আফরিন সুলতানা লিয়া একটি প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত। শুধু তাই নয়, তালাক দেওয়ার পর শিক্ষিকা ও তার মা আরিফা আক্তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে মানহানিকর প্রচারণা চালাচ্ছেন। এ ঘটনায় ইতোমধ্যেই হাজারীবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি।

ঢাকার হাজারীবাগ থানার জিডির তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষিকা ও তার মা প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সাংবাদিকদের প্ররোচিত করছেন যাতে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়। এমনকি এক ব্যক্তি সাংবাদিক পরিচয়ে ফোন করে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও চাঁদা দাবি করেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

ভুক্তভোগী কাজী মাহবুবুর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি হাজারীবাগ থানায় জিডি করেছি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিবে এই আশাই করছি। আমি এর চাইতে বেশি কিছু বলতে চাইনা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষিকা আফরিন সুলতানা লিয়ার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় শিক্ষক সমাজ বলছে, একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একের পর এক বিতর্কিত ঘটনায় প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।

জিডি তদন্তের দায়িত্বে থাকা হাজারীবাগ থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) আবু সাঈদ চৌধুরী সাগর বলেন, “কাজী মাহবুবুর রশিদ জিডি করার পর সেটি আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালত আমাকে তদন্তের অনুমতি দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

No comments