বগুড়ায় চার মাসের শিশুর কানে ‘আল্লাহু’ লেখা! এলাকায় চাঞ্চল্য, দেখতে ভিড় করছে শত শত মানুষ
বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়া সদর উপজেলার নারুলী আনন্দ পাড়ায় জন্ম নিয়েছে এক ব্যতিক্রমী শিশু, যার দুই কানে আরবি হরফে ‘আল্লাহু’ (الله) শব্দটি স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে—এমনটাই দাবি করেছেন পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা। চার মাস বয়সী এই শিশুকে এক নজর দেখতে ভিড় করছেন শত শত উৎসুক মানুষ। এতে এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য ও ধর্মীয় আবেগ।
শিশুটির নাম মো. শেহজাদ শেখ জয়। তার পিতা মো. শফিক শেখ এবং মাতা মোছা. জান্নাতুল জান্নাত জানান, জন্মের পর শিশুর কানে ভিন্ন ধরনের আকৃতি দেখতে পান তারা। পরবর্তীতে দেখা যায়, কানের ভাঁজে আরবি হরফে ‘আল্লাহু’ লেখা রয়েছে।
মোছা. জান্নাতুল জান্নাত বলেন, আমার সন্তান গর্ভে আসার পর থেকেই আমি বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলাম। নিয়মিত অক্সিজেন নিতে হতো হাসপাতালে। অনেক কষ্টের পর এই সন্তানকে পেয়েছি। তার কানে ‘আল্লাহু’ লেখা দেখে চোখে পানি এসে যায়। আল্লাহর দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া।
শিশুটির পিতা মো. শফিক শেখ বলেন, প্রতিদিন আশপাশের এলাকা থেকে বহু মানুষ আমাদের বাড়িতে আসছেন ছেলেকে এক নজর দেখতে। কেউ বলছেন এটা অলৌকিক, কেউ বলছেন আল্লাহর রহমত। আমরা এটিকে আল্লাহর পক্ষ থেকে বার্তা হিসেবে দেখছি। আমার স্বপ্ন, সে বড় হয়ে একজন আলেম হোক।
শিশুটির নানি শাহানা বেগম জানান ,এতদিন কেবল শুনে এসেছি, আজ নিজের চোখে দেখলাম শিশুর কানে আল্লাহর নাম। হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।
প্রতিবেশী নাজু খাতুন বলেন, ভাতিজার ছেলের কানে আল্লাহু লেখা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। আমাদের পরিবারের ইতিহাসে এই প্রথম এমন কিছু দেখলাম।
এ বিষয়ে মতামত দিয়েছেন সরকারি আজিজুল হক কলেজের আরবি ও ইসলামী শিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর কে. এম. কায়ছুল বারী। তিনি বলেন,মোবাইলে দেখেছি শিশুর কানে ‘আল্লাহু’ লেখা স্পষ্ট। আল্লাহর নাম যদি কারও দেহে এমনভাবে প্রকাশ পায়, এটি নিঃসন্দেহে একটি শুভলক্ষণ। এটি সেই পরিবারের জন্য একটি বার্তা বহন করে—তারা যেন আল্লাহর পথে চলেন।
তিনি আরও যোগ করেন,গাছ, পশু, প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদানেও আমরা অনেক সময় আল্লাহর নাম বা বিভিন্ন চিহ্ন দেখতে পাই। ইসলামি শরীয়ত অনুযায়ী এসব বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত আবেগে ভেসে না গিয়ে ধৈর্য ও সচেতনতা বজায় রাখা উচিত।
এমন ঘটনা বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যাখ্যার দাবি রাখলেও স্থানীয়দের কাছে তা ধর্মীয় অনুভূতির উৎস হয়ে উঠেছে। পরিবারটি জানিয়েছেন, তারা ঘটনাটি গণমাধ্যমে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে নয়, বরং মানুষের দোয়া পাওয়ার আশায় জানাচ্ছেন।
বর্তমানে শিশু শেহজাদ শেখ জয় সুস্থ আছে এবং তার পরিবারের একমাত্র চাওয়া—সে যেন ইসলামের পথে বড় হয় এবং সমাজে আলোর পথ দেখায়।

No comments