মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে গাফফারের নিয়োগ জালিয়াতি ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ!
ফয়সাল হোসাইন সনি, বগুড়া
বগুড়ার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অসঙ্গতি এবং কর্মচারীদের অনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, হাসপাতালে জামাদার সরদার পদে নিয়োগ পাওয়া গাফফার বর্তমানে অফিস সহায়ক হিসেবে কাজ করছেন। শুধু দায়িত্বের অসঙ্গতিই নয়, তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, অশ্লীল ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল এবং মাদকসেবনের মতো ভয়াবহ অভিযোগ রয়েছে।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যে পদে নিয়োগ, সেই পদেই দায়িত্ব পালনের কথা। কিন্তু মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নিয়ম উপেক্ষা করে জামাদার সরদার পদে নিয়োগ পাওয়া গাফফারকে বসানো হয়েছে অফিস সহায়কের পদে। এতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও প্রশাসনিক নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নারী অভিযোগ করে বলেন, “গাফফার বিভিন্ন সময় মেয়েদের অশ্লীল ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করতেন। শুধু তাই নয়, সেই ছবি দেখিয়ে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্কেও বাধ্য করতেন।” তাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই এভাবে হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে গাফফার প্রভাব বিস্তার করে আসছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গাফফারের বিরুদ্ধে মাদকসেবনের অভিযোগও নতুন নয়। অনেকেই তাকে হাসপাতালের আশপাশে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় দেখেছেন বলে জানিয়েছেন। যদিও অভিযুক্ত গাফফার এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি জীবনে মাদক সেবন করিনি। কিছু খারাপ অভ্যাস ছিল, এখন আর নেই।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও উপ-পরিচালক ডা: মজিদুল ইসলাম বলেন,“গাফফারের বিষয়ে আমি আগে জানতাম না। অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হবে। প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই ঘটনা শুধু একজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে নয়, পুরো হাসপাতালের প্রশাসনিক দুর্বলতা ও নজরদারির অভাবকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা, নিয়োগ প্রক্রিয়ার শুদ্ধতা এবং নারী কর্মীদের নিরাপত্তা এখন বড় ধরনের আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

No comments