ধুনটে নিয়মিত গণশুনানি,সরাসরি জনসংযোগে দ্রুত সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের উদ্যোগ
রবিউল হাসান, ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি:
জনগণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব ও প্রশাসনিক সেবা দ্রুত পৌঁছে দিতে ধুনট উপজেলা প্রশাসন চালু করেছে নিয়মিত গণশুনানি কার্যক্রম। প্রতি বুধবার সকাল থেকে ধুনট উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে সরাসরি জনগণের অংশগ্রহণে এই গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খৃষ্টফার হিমেল রিছিল নিজে উপস্থিত থেকে সাধারণ মানুষের অভিযোগ শোনেন এবং তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
গণশুনানিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত সাধারণ, অসহায়, দুঃস্থ, অসুস্থ মানুষ এবং শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ, পারিবারিক কলহ, চলাচলের রাস্তা, সেবাপ্রাপ্তিতে জটিলতা সহ নানা সমস্যা সরাসরি তুলে ধরেন ইউএনওর সামনে।
ইউএনও খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন,জনগণের কথা শোনাই গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। আমরা চাই, সাধারণ মানুষ সরাসরি এসে তাদের সমস্যার কথা বলুক—আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করব তাৎক্ষণিক ও যথাযথ সমাধান দিতে। গণশুনানি হলো একটি উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম, যেখানে প্রশাসনের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, তাৎক্ষণিক সমাধানযোগ্য সমস্যাগুলোই নিষ্পত্তি করা হয় এবং অন্যান্য জটিল বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয় যথাযথ পদক্ষেপের জন্য।
কৃষকের সমস্যা, প্রশাসনের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ
গণশুনানির সুফল সম্পর্কে কৃষক আব্দুল আলিম জানান,আমাদের চলাচলের রাস্তা প্রতিবেশী হঠাৎ বন্ধ করে দিলে ১৮-২০টি পরিবার চরম ভোগান্তিতে পড়ে যাই। জমির ধান ঘরে আনতে পারছিলাম না। গণশুনানিতে বিষয়টি তুলে ধরার পর ইউএনও স্যার দ্রুত পদক্ষেপ নেন এবং সমস্যার সমাধান করেন। এতে আমরা বড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
গণশুনানিতে জনগণের আস্থা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ
সেবাগ্রহীতারা জানান, গণশুনানির মাধ্যমে তারা যথাযথ পরামর্শ ও সমস্যার কার্যকর সমাধান পাচ্ছেন। ফলে আগের মতো এলাকার বিরোধ, কলহ ও অপ্রীতিকর ঘটনার সংখ্যা কমে এসেছে।
নিয়মিত এই গণশুনানির মাধ্যমে প্রশাসন ও জনগণের মধ্যে একটি কার্যকর সেতুবন্ধন গড়ে উঠেছে, যা ভবিষ্যতেও গণমুখী ও সমাধাননির্ভর প্রশাসনের রোল মডেল হয়ে উঠবে বলে মনে করেন আয়োজকরা।

No comments