শিরোনাম

ভালোবাসার টানে সীমানা পেরিয়ে... তারপর হঠাৎ জানতে পারলেন, সে তো বিবাহিত



ডেক্স রিপোর্টঃ

একজন যুবক, তার চোখে প্রেমের ঝিলিক। ভালোবাসার টানে পেরিয়ে এলেন দেশের সীমানা। মনে ছিল একটাই স্বপ্ন—প্রিয় মানুষটির হাত ধরে নতুন একটি জীবন শুরু করবেন। কিন্তু রংপুরে এসে জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেলেন ভারতীয় সোহেল আলী।

কারণ, যাকে তিনি ভালোবেসেছিলেন—তিনি যে অন্যের ঘরণী!

একটা প্রেম, যা শুরু হয়েছিল স্ক্রিনের ওপাশে

ফেসবুক। যেখানে অজস্র বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে, কেউ কেউ পায় আজীবনের সঙ্গী। আবার কেউ কেউ... খুঁজে পায় ভাঙনের গল্প।

ঠিক তেমনই এক বছর আগে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার কলবলি তলার সোহেল আলীর (৩২) পরিচয় হয় বাংলাদেশের রংপুরের এক নারীর সঙ্গে। চ্যাট, কল, ভালোবাসার গল্প—সব মিলিয়ে সম্পর্কটা হয়ে উঠেছিল অনেক গভীর।

তারপর একদিন সোহেল সিদ্ধান্ত নেন—এই প্রেমকে বাস্তবে রূপ দেবেন। পরিবারকে কিছু না জানিয়েই পাসপোর্ট, ভিসা—all set! ৪ জুলাই তিনি পা রাখেন বাংলাদেশে।

প্রথমে মামাতো ভাইয়ের বাড়িতে ওঠেন রাজশাহীর পবায়। পরদিন সন্ধ্যায় পৌঁছান রংপুরের হারাগাছ এলাকায়, সেই প্রেমিকার ঠিকানায়।

কিন্তু বাস্তবতা ছিল নির্মম। দেখা হতেই তিনি জানতে পারেন, যার জন্য এতকিছু, সে আসলে একজন প্রবাসীর স্ত্রী! সোহেল ভেঙে পড়েন,

অচেনা একজন বিদেশিকে ঘোরাফেরা করতে দেখে স্থানীয়রা সন্দেহ করে সেনাবাহিনীকে খবর দেন। পরে সোহেলকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছ থানায় হস্তান্তর করা হয়।

পুলিশ জানায়, ওই নারী নিজের বৈবাহিক সম্পর্ক গোপন রেখেছিলেন। ফলে দুজনের সম্পর্ক একরকম ‘পরকীয়া’য় পরিণত হয়।


পরিবার জানত না কিছুই। সোহেলের মামাতো ভাই বলেন, “সে বিবাহিত, ভারতে প্রাইভেটকার চালায়। হুট করেই ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে চলে আসে। এখন সবাই খুব অস্বস্তিকর অবস্থায় আছে।”

শেষমেশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে লালমনিরহাটের বুড়িমারী সীমান্ত দিয়ে ভারতের চেংরাবান্ধা ইমিগ্রেশনে ফেরত পাঠানো হয়।



ভালোবাসা কি কেবল আবেগ দিয়ে গড়ে ওঠে? না কি সেখানে প্রয়োজন বিশ্বাস, সততা ও বাস্তবতা?

সোহেল আলীর গল্প আমাদের শেখায়—অনলাইনের প্রেম বাস্তবে অনেক সময় কাঁটার মতো ফুটে ওঠে। মুগ্ধতা তখনই টিকে থাকে, যখন সত্যকে জায়গা দেওয়া হয়।

No comments