বগুড়ায় দিনদুপুরে কুপিয়ে হত্যা, ভাতিজা সিজুর যাবজ্জীবন
বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়া শহরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে দিনদুপুরে জিয়া হত্যাকান্ডের ১১ বছর পর মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। চাচা হত্যায় অভিযুক্ত ভাতিজা নাজমুল হুদা সিজুকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে। এই মামলার সাত আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারা খালাস পেয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার বগুড়ার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ ইফতেখার আহমেদ এই রায় দেন। দন্ডিত আসামি নাজমুল হুদা সিজু বগুড়া শহরের ধরমপুর জিলাদার পাড়ার আমজাদ হোসেনের ছেলে। হত্যার দায়ে তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম করাদন্ডাদেশ দেওয়া হয়।
২০১৪ সালের ২ অক্টোবর শহরের বড়গোলা এলাকায় খুন হন জিয়াউল হক জিয়া। তিনি ধরমপুর জেলাদার পাড়ার রইচ উদ্দিনের ছেলে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় ভিকটিম জিয়ার স্ত্রী শ্যামলী আক্তার বাদি মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলাটি প্রথমে সদর থানার উপ-পরিদর্শক জুলহাস এবং পরে সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক কায়সার আলী তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা পরিচালনা করেন বাদি রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি এড. আবু হায়াত মোস্তাফা কামাল পরাগ। তাকে সহযোগিতা করেন অতিরিক্ত পিপি এড. আরাফাত খাতুনে জান্নাত নীলা। আসামি পক্ষে ছিলেন এড. আব্দুল মন্নাফ ও এড. রাশেদুর রহমান সবুজ।
মামলা সূত্র জানায়, ভিকটিম জিয়াউল হক জিয়ার পরিবারের সাথে আসামিদের পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। প্রতিপক্ষের হত্যার হুমকিতে নিরাপত্তা শঙ্কায় বগুড়া শহরের কাটনারপাড়ায় জয়নাল হাজির বিল্ডিংয়ে ভাড়া থাকতেন জিয়া। তিনি ঘটনার দিন বড় ভাই সুলতানকে সঙ্গে নিয়ে সোনা কেনার জন্য শহরের গালাপট্টিতে যান। বাসায় ফেরার সময় বেলা আড়াইটার দিকে বড়গোলায় আসামিরা অতর্কিত হামলা করে। জিয়া প্রাণে বাঁচার জন্য রাজাবাজারের দিকে দৌঁড় দিলে দত্ত স্টোরের পড়ে যান। এ সময় আসামি নাজমুল হুদা সিজু ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।

No comments