ধুনট পৌর এলাকায় রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, চরম দুর্ভোগে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ
এস এম ফজলে রাব্বি শুভ, ধুনট (বগুড়া)
বগুড়ার ধুনট পৌর এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন এসব রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ধুনট-শেরপুর, ধুনট-সোনামুখী এবং ধুনট-গোসাইবাড়ি সড়কসহ বেশ কয়েকটি প্রধান সড়ক প্রায় এক দশক আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) নির্মাণ করলেও, ধুনট পৌরসভার অভ্যন্তরীণ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোর সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে দীর্ঘদিন ধরে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে অনেক সড়কেই কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে।
চিহ্নিত ভাঙা সড়কগুলো:
- ধুনট মাছ বাজার থেকে টিএনটি মোড় পর্যন্ত
- কাচা বাজার থেকে হাইস্কুল খেলার মাঠ পর্যন্ত
- পোস্ট অফিস থেকে হাইস্কুল মাঠ পর্যন্ত
- উপজেলা পরিষদ থেকে টিএনটি মোড় পর্যন্ত
- সদর মন্দির থেকে ছানোয়ার কমিশনারের বাড়ি পর্যন্ত
- সদর মন্দির থেকে বালিকা বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে কণা কমিশনারের বাড়ি পর্যন্ত
বৃষ্টির সময় এসব সড়কে হাঁটু পানি জমে চলাচল একেবারেই দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে, ঘটছে দুর্ঘটনাও।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “ধুনট বাজার এলাকার আশপাশের রাস্তাগুলো এতটাই খারাপ যে প্রতিদিনই দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়। দ্রুত সংস্কার না করলে ভোগান্তি আরও বাড়বে।”
সাংবাদিক রবিউল হাসান জানান, “আমি সদরপাড়ায় ভাড়া থাকি। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তা ডুবে যায়, হাঁটু সমান পানি ও কাঁদা হয়। মটরসাইকেল নিয়েও চলতে ভয় লাগে।”
একজন অভিভাবক বলেন, “এমন রাস্তায় প্রতিদিন বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া দুরূহ হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির দিনগুলোতে তো একেবারেই বের হওয়া যায় না।”
ধুনট পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০১ সালের ১৬ এপ্রিল। পৌর এলাকার আয়তন ৫.৯২ বর্গকিলোমিটার এবং লোকসংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। শিক্ষা হার ৭৫ শতাংশ। এখানে ৯টি ওয়ার্ডে মোট হোল্ডিং সংখ্যা ৩,৬৬০টি।
অবিলম্বে রাস্তাগুলোর সংস্কার কাজ শুরু করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি জোরালো দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। নয়তো বর্ষাকালে দুর্ভোগ আরও বহুগুণে বাড়বে বলে মনে করছেন সবাই।

No comments