সুজানগরে স্ত্রীর লাথিতে স্বামী নিহত, আদালতে পাঠানো হলো স্ত্রীকে
পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনার সুজানগর উপজেলায় দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীর লাথিতে সবুজ হোসেন (২৬) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২২ জুন) দুপুরে অভিযুক্ত স্ত্রী আমেনা খাতুন আন্না (২০)–কে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। তার সঙ্গে ১৫ মাস বয়সী কন্যাশিশুকেও আদালতে পাঠানো হয়, যেহেতু সে মাতৃদুগ্ধপায়ী। পরে আদালত আমেনাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নিহত সবুজ হোসেন উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের বোনকোলা গ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্ত আমেনা খাতুন আন্না দুলাই ইউনিয়নের জোড়পুকুরিয়া গ্রামের আমিন সরদারের মেয়ে।
এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই বাদী হয়ে সুজানগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, তিন বছর আগে সবুজ ও আমেনার বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের মধ্যে প্রায়ই কলহ লেগে থাকত। ১৫ দিন আগে আমেনা কন্যাসন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান। পরে গত ১৮ জুন (বুধবার) রাতে সবুজ শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী ও সন্তানকে দেখতে যান।
সেই রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তীব্র বাগবিতণ্ডা হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে আমেনা খাতুন স্বামীর অণ্ডকোষে লাথি মারলে সবুজ ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং মারা যান।
পরদিন (বৃহস্পতিবার) পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমেনা খাতুন স্বামীর অণ্ডকোষে লাথি মেরে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
তিনি আরও বলেন, নিহত সবুজ নিয়মিত মাদকসেবী ছিলেন এবং মাদকের প্রভাবে প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করতেন। ঘটনার দিনও সবুজ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন বলে দাবি করেছেন আমেনা। আত্মরক্ষার জন্যই তিনি এমনটি করেছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।
মাতৃদুগ্ধপায়ী শিশুর স্বার্থে শিশুকন্যাকে মায়ের সঙ্গে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।

No comments