বগুড়ার কাগইলে ১৯ বছর পর তারেক রহমানের স্বপ্নের জায়গায় অস্থায়ী চিকিৎসা সেবা চালু
স্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার কাগইল ইউনিয়নের মানুষদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটল। ১৯ বছর আগে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানের উদ্যোগে যে স্থানে ২০ শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতাল নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল, অবশেষে সেই স্থানে শুরু হলো অস্থায়ী চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম।
২০০৬ সালে বিএনপি সরকারের মেয়াদে হাসপাতাল নির্মাণের ঘোষণা দেওয়া হলেও নানা কারণে সেটি বাস্তবায়িত হয়নি। দীর্ঘ সময় ধরে হাসপাতাল ভবন নির্মাণ না হওয়ায় অবকাঠামো ছাড়াই এবার চালু হলো চিকিৎসা সেবা, যা স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক স্বস্তি ও আশার সঞ্চার করেছে।
উদ্বোধনী আয়োজন
সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে এই অস্থায়ী চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এম আর হাসান পলাশ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিল্টন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কাগইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আশরাফ হোসেন।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক নতুন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মমিনুল হক মমিন, শাহাদাত হোসেন খান সাগর, গাবতলী পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদসহ ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।
সেবা কার্যক্রমের ধরন
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আপাতত প্রতি মাসে একদিন করে—দশ দিন পরপর বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ী চিকিৎসা ক্যাম্পের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হবে। এখানে স্থানীয় বাসিন্দারা বিনামূল্যে পাবেন চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ।
চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনায় থাকবেন বগুড়ার অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা, যারা সাধারণ রোগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন মৌসুমি রোগ, রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরামর্শ দেবেন।
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এতদিন সাধারণ অসুস্থতা বা ছোটখাটো রোগ নিয়ে গাবতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কিংবা বগুড়া শহরের হাসপাতালে যেতে হতো। এতে সময় ও খরচ উভয়ই বেড়ে যেত। এখন নিজ এলাকাতেই চিকিৎসা সেবা পাওয়ায় তারা অত্যন্ত খুশি।
একজন প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, "অনেক দিন পর মনে হচ্ছে, আমাদের কথাও কেউ শুনছে। তারেক রহমান যে জায়গায় হাসপাতালের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেখানে আবারও কিছু একটা শুরু হওয়ায় আমরা আশাবাদী।"
নেতাদের প্রতিশ্রুতি
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোরশেদ মিল্টন বলেন, "এই জায়গাটি তারেক রহমানের স্বপ্নের একটি প্রকল্প ছিল। আজকে আমরা অস্থায়ী কার্যক্রমের মাধ্যমে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে যাত্রা শুরু করলাম। ভবিষ্যতে এখানে একটি পূর্ণাঙ্গ, আধুনিক ও স্থায়ী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও রয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। আমরা রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে উঠে মানুষের পাশে থাকতে চাই।"

No comments