শিরোনাম

বগুড়ায় জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের মামলা: আসামীর নিকট বাদীর ৫ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবীর অভিযোগ!


বগুড়া প্রতিনিধিঃ

বগুড়ায় জুলাই–আগস্ট কোটা সংস্কার আন্দোলন সংক্রান্ত একটি মামলাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যকর চাঁদাদাবির অভিযোগ উঠেছে। 

মামলার এক আসামির কাছে বাদী পক্ষ পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় অডিও ক্লিপ ও সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ রয়েছে চ্যানেল টেন কর্তৃপক্ষ নিকট।

জানা যায়, ২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টে কোটা সংস্কার আন্দোলনে আহত এক ‘জুলাই যোদ্ধা’ দাবি করা আরাফ নামের এক ব্যক্তি চলতি বছরের ২২ অক্টোবর বগুড়া সদর থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ৬০ নম্বর আসামি ফাহমুদুল হাসান পিয়াসের বিরুদ্ধে অভিযোগ—মামলাটিকে কেন্দ্র করেই তার কাছে চাঁদা দাবি করা হয়

অভিযোগ অনুযায়ী, গত ২১ ডিসেম্বর (রবিবার) মামলার বাদী আরাফ তার সঙ্গে আরও ৪–৫ জন ব্যক্তিকে নিয়ে বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলায় অবস্থিত ফাহমুদুল হাসান পিয়াসের ব্যক্তিগত চেম্বারে যান। সেখানে সরাসরি পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এ সময় টাকা না দিলে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন আসামি পিয়াস।

এ বিষয়ে ফাহমুদুল হাসান পিয়াস চ্যানেল টেনকে বলেন,“বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন নম্বর থেকে আমাকে ফোন করে আকার-ইঙ্গিতে টাকা দাবি করা হচ্ছিল। পরে মামলার বাদী আরাফ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে আমার চেম্বারে এসে সরাসরি পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছি। আমি একজন সরকারি চাকরিজীবী। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় ছবি থাকা স্বাভাবিক। সেই ছবি ব্যবহার করে আমাকে ‘ফ্যাসিস্ট’ বানানোর চেষ্টা করছে একটি কুচক্রী মহল। আমার কোনো রাজনৈতিক পদ-পদবি নেই, তবুও আমাকে মিথ্যাভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে।”

শুধু অডিও ক্লিপ নয়—ঘটনার সময় চেম্বারে প্রবেশের সিসিটিভি ফুটেজও রয়েছে চ্যানেল টেন কর্তৃপক্ষের কাছে।

অন্যদিকে, চাঁদাদাবির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মামলার বাদী আরাফ। তিনি বলেন, “আমি তাকে গ্রেপ্তার করানোর জন্য সেখানে গিয়েছিলাম। তার কাছ থেকে কোনো টাকা চাইনি বা দাবি করিনি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।”

জুলাই–আগস্ট আন্দোলন ছিল গণমানুষের অধিকার আদায়ের প্রতীক। সেই আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে যদি ব্যক্তি স্বার্থে মামলা, ভয়ভীতি কিংবা চাঁদাবাজির চেষ্টা হয়ে থাকে—তবে তা শুধু অপরাধ নয়, বরং আন্দোলনের নৈতিকতাকেও কলঙ্কিত করে।

ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

No comments