বগুড়ায় ধর্ষণ মামলায় আবাসিক হোটেলের দালাল গ্রেফতার
বগুড়া প্রতিনিধিঃ
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর অধীন দায়ের করা ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় আসামী আবাসিক হোটেল দালাল মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন (২৭)–কে গ্রেফতার করেছে বগুড়া সদর থানা পুলিশ।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সাতমাথা সপ্তপদী মার্কেটের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আসামীকে আদালতে সোপর্দ করে জেলহাজতে পাঠানো হয়। গ্রেফতারকৃত ইলিয়াস হোসেন শাজাহানপুরের জালশুকা এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বিবাহিত অবস্থায় বাদীনির সঙ্গে মোবাইল ফোনে ইলিয়াসের পরিচয় হয়। পরবর্তীতে নিয়মিত ভিডিও কল ও আলাপচারিতার মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সুযোগ বুঝে আসামী বাদীনিকে স্বামীকে তালাক দিয়ে তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকে।
বাদীনির অভিযোগ, ইলিয়াসের প্রলোভনে তিনি স্বামীকে তালাক দেন এবং ৬–৭ ভরি স্বর্ণালংকার ও ১০–১২ লাখ টাকা সঙ্গে নিয়ে বাবার বাড়িতে অবস্থান করেন। এরপর ইলিয়াস কৌশলে তাকে বগুড়ায় এনে বগুড়া সদরের নিশিন্দারা উত্তরপাড়ার ট্যাংকের সাগর সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায় রেখে নিজে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে দালালির কাজ করতেন। সেখানে বাদীনিকে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করতেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বাদীনি আরও জানান, বিয়ের কথা বললে ইলিয়াস বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতেন এবং ধীরে ধীরে তার যাবতীয় স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নেন। শেষে বাদীনি নিঃস্ব হয়ে পড়ায় সন্তানদের বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
বাদীনির দাবি, গত ২৬ অক্টোবর ভাড়া বাসায় এসে ইলিয়াস তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর তাকে অশ্লীল কু-প্রস্তাব দেয় এবং কান্নাকাটি করলে তাকে মারধর করে, যার ফলে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন তৈরি হয়। বাদীনির চিৎকার শুনে বাড়ির মালিকের স্ত্রী নিচে এসে ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেন। প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে ইলিয়াস সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
শুক্রবার ৭ নভেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসামীকে গ্রেফতারের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। আর তাতে আসামী ইলিয়াস দাবী করেন, ধর্ষণের মামলা করা ওই নারী যৌনকর্মী।
এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান বাশির বলেন,“তার নামে আদালতে ধর্ষণ মামলা হয়েছে। আমরা আসামীকে গ্রেফতার করেছি, আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।”

No comments