যুবলীগ ও ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের হামলাঃ গুরুতর আহত ছাত্রদল কর্মী।
গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
গত শুক্রবার বিকেলে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটা ইউনিয়নে এ হামলার ঘটনা ঘটে। দুর্গাহাটা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল ও ওই ইউনিয়নের ছাত্রদলের আহ্বায়ক আশিকের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয় ছাত্রদল কর্মী শাকিব। শাকিব বর্তমানে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাকিব জানায়, দুর্গাহাটা মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার আয়োজনে অতিথি ছিলেন বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এমআর হাসান পলাশ। পলাশ ভাইকে রিসিভ করতে আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম, এমন সময় আমার উপর অতর্কিত হামলা হয়। ধারালো অস্ত্র, রড ও লাঠির আঘাতে আমি যখন মাটিতে লুটিয়ে পড়ি তখন হামলাকারীরা সেখান থেকে চলে যায়।
শাকিব আরও জানায়, হামলাকারীদের মধ্যে ৪/৫ জনকে চিনতে পেরেছেন তিনি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে হামলাকারীদের নেতৃত্ব দিয়েছে যুবলীগ নেতা জুয়েল ও ছাত্রদলের আহ্বায়ক আশিক।
যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের যৌথ হামলার এমন ঘটনা ঘটায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, যুবলীগ নেতা রাতারাতি বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিলে মিশে একাকার। আওয়ামী লীগ আমলে অর্জিত অবৈধ টাকার গরমে এখনো বিভিন্নভাবে নির্যাতন ও হয়রানি করেই চলেছে জুয়েল।
দুর্গাহাটার অন্যান্য ছাত্রদল কর্মীরা জানান, আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচার, নির্যাতন করা যুবলীগ নেতা জুয়েল এখন কিছু বিএনপি নেতার ছত্রছায়ায়। এমন অবস্থা চলতে থাকলে খোদ গাবতলীতেই সমর্থন সংকটে পড়বে বিএনপি। তাই দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
হামলার ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এমআর হাসান পলাশ জানান, তার কর্মীকে অন্যায়ভাবে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক উভয় ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হচ্ছে।
গাবতলী থানার অফিসার ইনচার্জ সেরাজুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় আহত শাকিবের পিতা রবিউল করিম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এরই মধ্যে এজাহারভুক্ত আট নম্বর আসামি আতিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।

No comments