বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়া সদরের গোকুল দক্ষিণপাড়া এলাকায় চাঁদা না পেয়ে আলোচিত মিজান হত্যা মামলার ১৯ নম্বর আসামি ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ চক্রের ভয়াবহ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গোকুল খোলারঘর মহাসড়ক সংলগ্ন জায়গায় ঘরবাড়ি নির্মাণ করেন রামশহর গ্রামের আবু হোসেন (৩০) ও তার স্ত্রী শিরিন শিলা (২৪)।
পারিবারিক কারণে তারা সাময়িকভাবে গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। সেই সুযোগে একই এলাকার সেকেন্দার আলীর পুত্র ও বগুড়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজান হত্যা মামলার আসামি ফারুক হোসেন (২৫) ও তার পিতাসহ ৫ থেকে ৭ জনের একটি চক্র আবু হোসেনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে।
চাঁদা না দেওয়ায় গত ২৫ অক্টোবর শনিবার গভীর রাতে তারা বাড়ির তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ১৩ বান্ডিল টিন, ৪টি দরজা, ১টি মেইন গেট, বারান্দার গ্রীল, সাবমার্সিবল পাম্প, পানির ট্যাংক, পাইপ ও ইটসহ নির্মাণ সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ফারুক ও তার দলবলের দাপটে এলাকাবাসী মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি ও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
গোকুল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য আইয়ুব খান বলেন,“ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা চাই না গোকুলে পুনরায় সহিংসতার আগুন জ্বলে উঠুক। অপরাধী যেই হোক, তার বিচার হওয়া দরকার।”
ভুক্তভোগী আবু হোসেন বলেন, “আমরা আইনের প্রতি আস্থা রাখি। যারা আমাদের ঘরবাড়ি লুট করেছে, তাদের যেন কঠোর শাস্তি হয়—এই দাবি জানাই।”
বিষয়টি নিয়ে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান বাশির বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনার সত্যতা প্রমাণ হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments