শিরোনাম

বগুড়ায় আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক!


শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ

বগুড়ার শিবগঞ্জে নতুন রাজনৈতিক নাটকীয়তা। উপজেলা আওয়ামী মহিলা যুবলীগের সহ-সভাপতি শাহানা বেগমের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের শতাধিক নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। 

কিন্তু এই যোগদান ঘিরে দেখা দিয়েছে ব্যাপক বিতর্ক— জামায়াত-শিবিরের নামে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অভিযোগে সরগরম হয়ে উঠেছে উপজেলা রাজনীতি।

ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় দাড়িদহ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মীর শাহে আলমকে বিজয়ী করতে ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় কর্মী সমাবেশ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সাজু। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল হক এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও এমপি প্রার্থী মীর শাহে আলম।

সমাবেশে শাহানা বেগমের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের শতাধিক কর্মী ফুলের তোড়া দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন।

তাদের সঙ্গে ছিলেন শিবিরের ইউনিয়ন কমিটির সাবেক বাইতুল মাল সম্পাদক রেজওয়ান ও সাবেক সাথী জুয়েল রানা।

তবে, মাত্র দুজন প্রাক্তন শিবির কর্মীর উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় “জামায়াত-শিবির থেকে শতাধিক নেতাকর্মীর বিএনপিতে যোগদান” শিরোনামের সংবাদ। এরপরই উপজেলাজুড়ে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপি ও জামায়াতের একাধিক নেতা জানান, “জামায়াত-শিবিরের নাম ব্যবহার করে আওয়ামী লীগকর্মীদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। দুয়েকজন ফুল দিলেও প্রচারে ‘শতাধিক যোগদান’ বলা হচ্ছে।”

এ বিষয়ে উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আছার উদ্দীন বলেন,“ঘটনাটি শুনেছি, তবে সরেজমিন তদন্ত করে পরে মন্তব্য করব।”

অন্যদিকে জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা শাহাদাতুজ্জামান বলেন,“এ বিষয়ে আমি জানতাম না। এখন গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আওয়ামী লীগের সবাই খারাপ নন। যারা যোগ দিয়েছেন, তারা দীর্ঘদিন অন্যায়-নির্যাতনের শিকার ছিলেন। তারা সরাসরি আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শিবগঞ্জের এই যোগদান আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষ শিবিরে নতুন গতিশীলতা আনতে পারে, তবে ‘জামায়াত-শিবির তকমা’ ঘিরে বিএনপির ভেতরেই শুরু হয়েছে নীরব অস্বস্তি।

No comments