বয়সের তথ্য গোপন করে গ্রাম পুলিশে চাকরি করছেন আব্দুর রহিম হেলাল
স্টাফ রিপোর্টার
বয়সের তথ্য গোপন করে গ্রাম পুলিশে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের মো:আব্দুর রহিম হেলাল এর বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
মো:আব্দুর রহিম হেলাল প্রকৃত বয়স গোপন করে গ্রাম পুলিশের চাকরিতে বহাল তবিয়তে আছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গ্রাম পুলিশ আব্দুর রহিম হেলালের নিয়োগ ০১-০২-২০১২, ভোটার তালিকায় জন্ম তারিখ ০১-০৪-১৯৭৭, নিয়োগের সময় বয়স ৩৪ বছর ১০ মাস। নিয়োগের সময় বয়স লাগে ১৮-৩০ বছর।
কিন্তু নিয়োগের সময় তার বয়স ৪ বছর ১০ মাস বেশি। তিনি এখনও দিব্যি চাকরি করে যাচ্ছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, প্রকৃত বয়স গোপন রেখে চাকরি করে যাচ্ছেন মো:আব্দুর রহিম হেলাল একই সঙ্গে সরকারি বেতন ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছেন।
তার প্রবাসী মেয়ের নামে রয়েছে সরকারি প্রকল্পের মুজিব বর্ষের ঘর।
হেলাল চরক্লার্ক ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
আরো জানা যায় বিগত সরকারের আমলে তিনি আওয়ামী লীগের ক্ষমতা দেখিয়ে সরকারি সুযোগ সুবিধা গুলো নিজেই নিজের নামে এবং পরিবারের নামে নিয়ে গেছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গ্রাম পুলিশ মো:আব্দুর রহিম হেলাল এলাকার অসহায়, দুঃস্থ নারী-পুরুষের কাছ থেকে বয়স্ক, বিধাবা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও টিনসেড ঘর, সরকারি প্রকল্পের ঘর দেয়ার নাম করে হাজার হাজার টাকা আত্মসাত করেছেন।
উক্ত বিষয় জানতে চাইলে, অভিযোগ অস্বীকার করে গ্রাম পুলিশ মো:আব্দুর রহিম হেলাল বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ডে আমি জড়িত নই।
চরক্লার্ক ইউনিয়ন পরিষদের
চেয়ারম্যান এডভোকেট.আবুল বাশার বলেন এগুলো মিথ্যা অভিযোগ, এআই অ্যাপস দিয়ে বানানো। আমার পরিষদে সবচেয়ে ভালো গ্রাম পুলিশ আব্দুর রহিম হেলাল।
নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আসফার সায়মা বলেন
বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে কেউই অভিযোগ করেনি,অভিযোগ করেন, আমি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

No comments