বগুড়া প্রতিনিধিঃ
ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) ব্যবহার করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ২৭ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৫ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের বিশেষ অভিযানে মূল প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানায় দায়ের করা মামলার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম (৬৭) গত ২৯ জুলাই বগুড়া সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নং-২৪১০) করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ২৭ জুলাই বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি তার জামাই আব্দুল হকের মোবাইল নম্বরে ফোন করে নিজেকে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা পরিচয় দেন। ওই ব্যক্তি রফিকুল ইসলামের নাতি মেজবাউল হকের নাম-ঠিকানা সঠিকভাবে উল্লেখ করে জানান, তাকে মেধাবৃত্তির টাকা প্রদান করা হবে। এ সময় তারা ব্যাংক হিসাব নম্বর চাইলে তার জামাই নিজের প্রাইম ব্যাংক পিএলসি, বড়গোলা শাখার অ্যাকাউন্ট নম্বর ও মোবাইল নম্বর প্রদান করেন।
এর কিছুক্ষণ পর প্রতারকরা ওই মোবাইলে একটি ওটিপি (পিন নম্বর) পাঠায় এবং কৌশলে তা সংগ্রহ করে নেয়। এরপর থেকেই কয়েক দফায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ২৭ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৫ টাকা তুলে নেয় প্রতারক চক্রটি।
এ ঘটনায় পরবর্তীতে বগুড়া সদর থানায় মামলা নং-৪৩, তারিখ ১১ অক্টোবর ২০২৫, দণ্ডবিধি ৪০৬/৪২০ ধারা অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়।
এরই প্রেক্ষিতে জেলা গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ ইকবাল বাহার এর তত্ত্বাবধানে ও পুলিশ পরিদর্শক রাকিব হোসেন এর নেতৃত্বে ডিবি বগুড়ার একটি বিশেষ টিম ১১ অক্টোবর রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার জঙ্গলপাক্ষা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায়।
অভিযানে প্রযুক্তি নির্ভর অনুসন্ধান ও নিখুঁত গোয়েন্দা তৎপরতায় মূল প্রতারক রাজু মুন্সি (২৩), পিতা জলিল মুন্সি, সাং জঙ্গলপাক্ষা, থানা ভাঙ্গা, জেলা ফরিদপুরকে গ্রেফতার করা হয়। তার হেফাজত থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা ও প্রতারণায় ব্যবহৃত একটি সিম কার্ড উদ্ধার করে পুলিশ।
ডিবি ইনচার্জ ইকবাল বাহার জানান, “ওটিপি বা অনলাইন ব্যাংক প্রতারণা এখন দেশের অন্যতম বড় সাইবার অপরাধ। এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
গ্রেফতার হওয়া আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা।
No comments