শিরোনাম

যুবদল নেতা খুন: থানার এএসআইয়ের বিরুদ্ধে ঘুষ ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ

 

বগুড়া প্রতিনিধিঃ 

বগুড়ার কাহালু উপজেলায় পুকুর দখল নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মো. সোয়েব সুলতান ওরফে রাহুল (৩০) নামে এক যুবককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (তারিখ) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে উপজেলার মাগুড়া উত্তরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাহুল সদর উপজেলার কৈগাড়ী গ্রামের মৃত আব্দুস সোবাহানের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাগুড়া উত্তরপাড়ার একটি পুকুর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাদী ও বিবাদী পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এ নিয়ে কাহালু থানায় একাধিক অভিযোগ দায়ের হলেও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। অভিযোগ রয়েছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই (নিঃ) মো. জালাল উদ্দিন বিবাদী পক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ ও পুকুরের মাছ গ্রহণ করেন। শুধু তাই নয়, তিনি নানাভাবে বিবাদীদের উসকানি দিতেন বলেও দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুরে রাহুল শখের বসে হুইল বশি দিয়ে মাছ ধরতে গেলে প্রতিপক্ষ পূর্বপরিকল্পিতভাবে রামদা, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করেন, এএসআই জালাল উদ্দিন দায়িত্বে গাফিলতি ও ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে বিবাদীদের প্রশ্রয় দিয়েছেন। তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সহযোগিতা ছাড়া এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারত না। নিহতের পরিবার মানববন্ধনের কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

এএসআই জালাল উদ্দিন এ বিষয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, “৫ মাস আগে আমার কাছে অভিযোগ এসেছিল। আমি দুই পক্ষকে বসে সমাধান করতে বলেছিলাম। এরপর কী হয়েছে, সে বিষয়ে আমার জানা নেই। ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার নামে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।”

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান বলেন, “ঘটনার বিষয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। এএসআই জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে যদি ঘুষ গ্রহণ ও দায়িত্বে গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মুল আসামীকে গ্রেফতার করেছি। এর সাথে আরও যারা জড়িত রয়েছে তাদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।”

No comments