শিরোনাম

মুফতি আমীর হামজার ওপেন চ্যালেঞ্জ: “মিথ্যা অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা পুরষ্কার করার ঘোষণা”

 



চ্যানেল টেন অনলাইনঃ
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের বড়িয়া জামে মসজিদে বিএনপির এক নেতার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে “মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে দাবি করেছেন বিশিষ্ট ইসলামী বক্তা মুফতি আমীর হামজা।

তিনি এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, “গতকাল আসরের নামাজের পর মসজিদে বিএনপির নেতার সঙ্গে ঘটনার বিষয়ে যেভাবে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি ১০ লক্ষ টাকার চ্যালেঞ্জ করছি—যে কেউ প্রমাণ করতে পারলে আমি এই অর্থ প্রদান করবো।”

মুফতি হামজা জানান, তিনি নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগের সময় আসরের আজান হলে বড়িয়া জামে মসজিদে নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে স্থানীয় ইমাম ও মুসল্লিরা কুরআন থেকে কিছু আলোচনা করার অনুরোধ জানালে তিনি সংক্ষিপ্তভাবে তাফসির শুরু করেন।

তার ভাষ্য, “আমি মাত্র একটি আয়াত তেলাওয়াত করে এর বঙ্গানুবাদ করছিলাম। সে সময় স্থানীয় এক বিএনপি নেতা আমাকে হুশিয়ারি দিলে সাধারণ মুসল্লিরা তা মেনে নিতে পারেনি। আমি কোনো বিশৃঙ্খলা চাইনি; যা ঘটেছে, তা সাধারণ মুসল্লিদের আবেগের বহিঃপ্রকাশ।”

তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের সময় যেমন কুরআনের আলোচনাকে রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে বাধা দেওয়া হতো, এখনো সেই একই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

মুফতি হামজা বলেন,আমি মসজিদে কখনো দলীয় বক্তব্য বা ভোটের আহ্বান জানাইনি। যদি কেউ প্রমাণ দিতে পারে, আমি ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেবো। ইসলামের আলোচনায় রাষ্ট্র, রাজনীতি ও নেতৃত্বের বিষয়ে কুরআনের আয়াত তাফসির করা রাজনৈতিক বক্তৃতা নয়।”

তিনি আরও যোগ করেন,আমরা ফ্যাসিস্ট আমলে কুরআনের কথা বলার জন্য নানা ত্যাগ স্বীকার করেছি। জুলাই আন্দোলনে আলেমদের ভূমিকা ছিলো গুরুত্বপূর্ণ। তারপরও আজ আমাদের বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে—যা অত্যন্ত দু:খজনক।”সূত্র: মুফতি আমীর হামজার ফেসবুক পোস্ট

No comments