‘সাংবাদিক’ সেজে মাদ্রাসা ফাঁকি! শিবগঞ্জে শিক্ষক শাহজাহানের দাপট — ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না সুপার!
শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার শিবগঞ্জে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এখন এক শিক্ষক— নাম শাহজাহান আলী। চান্দার বাকসন এম.এস.এম. দাখিল মাদ্রাসার এই শিক্ষক এখন এলাকায় পরিচিত “সাংবাদিক শাহজাহান” নামে! অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষক পদে থেকেই মিথ্যা তথ্য দিয়ে ছুটি নিয়ে সাংবাদিক সেজে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনি নিয়মিত ক্লাসে অনুপস্থিত থেকে বিভিন্ন স্থানে সংবাদ সংগ্রহের নামে ঘোরাফেরা করেন। ফলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে শিক্ষকের অভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
পূজার ছুটি শেষে মাদ্রাসা খোলার প্রথম দিনেই ক্লাসে না গিয়ে তিনি শরিফ খান ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে সাংবাদিক পরিচয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন। ওই দিন তার হাতে ছিল “প্রেস” লেখা সাইনবোর্ড— আর গলায় ঝুলছিল আইডি কার্ড!
এ নিয়ে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন— “শিক্ষক না সাংবাদিক?”
এ বিষয়ে চান্দার বাকসন মাদ্রাসার সুপার আমানুল্লাহ বলেন, “হ্যাঁ, শাহজাহান আলী ছুটি নিয়েছেন। শুনেছি পারিবারিক সমস্যার কথা বলেছেন। তবে ছুটির আসল কারণ আমি জানি না।”
তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, সুপার বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন এবং ওই শিক্ষককে প্রকাশ্যে প্রশ্রয় দিচ্ছেন।
অভিযোগ রয়েছে, মাদ্রাসা চলাকালীন সময়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ‘সাংবাদিক’ পরিচয়ে উপস্থিত থেকেছেন শাহজাহান আলী। এমনকি কয়েকটি স্থানীয় প্রতিষ্ঠানে নিজের নামসহ “সাংবাদিক শাহজাহান” লেখা বোর্ড লাগিয়েছেন তিনি।
একজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের বাচ্চারা ক্লাসে শিক্ষকের অভাবে পিছিয়ে পড়ছে, আর শিক্ষক সাহেব সাংবাদিক সাজার শখে ব্যস্ত! প্রশাসন যদি চায়, একদিনেই সব বেরিয়ে আসবে।”
এলাকাবাসীর একাংশের প্রশ্ন— “তিনি আসলে শিক্ষক না সাংবাদিক— এই প্রশ্নের উত্তর এখন সময়ের দাবি।”
শিক্ষকতার দায়িত্বে থেকে সাংবাদিকতার দাপট— এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা, আর প্রশাসন নিরব দর্শক!

No comments