শিরোনাম

কাজিপুরে ইউপি সচিবের অবহেলায় দুই প্রকল্পের ৯ লক্ষ টাকা ফেরত

 


কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ)

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় শুভগাছা ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের অবহেলার কারণে দুইটি উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দের প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত গেছে।  প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে শেষ হলেও বিল তুলতে পারছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ওই সচিবকে তিন দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা চিত্রা রানী সাহা। 



এদিকে বরাদ্দের টাকা পুনরায় ফেরত চেয়ে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা তহবিল (বিবিজি) এর প্রকল্প পরিচালক বরাবর দুদিন আগে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে প্রথম কিস্তিতে উপজেলার শুভগাছা ইউনিয়নের রইবা হাওলাদারের বাড়ি হতে রতনশীলের বাড়ি পর্যন্ত ঢাকনাসহ ইউড্রেন নির্মাণের জন্য ৪ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা রবাদ্দ দেয় সরকার। পরে দ্বিতীয় কিস্তিতে একই এলাকার দোয়েল নতুন পাড়া ভোলার বাড়ি হতে নজরুলের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের জন্য আরও ৪ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। নিয়ম মোতাবেক কাজ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসএমএস এন্টারপ্রাইজকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। যথারিতি ঠিকাদারের অনুকূলে ৯ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকার চেকও প্রদান করা হয়। কিন্তু চেক ব্যাংকে নিয়ে গেলে হিসেবে টাকা না থাকায় চেকটি ডিজওনার হয়। 


এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবু সাঈদ বলেন, 'প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। সচিব সাহেব বিল সাবমিট করেন নাই। ফলে টাকা ফেরত গেছে। কাজ শেষ হলেও ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করতে পারছি না, খুব ভোগান্তিতে পড়েছি।'


আরেক সভাপতি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'আমরা নিজেরাই ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ব্যবহার করে কাজ করেছি। কাজ শেষও করেছি। কিন্তু বিল পরিশোধ করতে পারিনাই। উল্টো প্রকল্পের রিটার্নশন মানি, ভ্যাট, আইটির টাকাসহ ফেরত চলে গেছে।'


এ ব্যাপারে শুভগাছা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও ব্যস্ত পাওয়া গেছে। 

তবে শুভগাছা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা চিত্রা রানী সাহা বলেন, 'রাস্তা ও ড্রেনের কাজ সব শেষ হয়েছে। ভিজিটও হয়েছে। কিন্তু জুন মাসে বিল সাবমিট দেয়ার কথা থাকলেও সচিব সাবমিট দেননি। তিনি জানেনই না জুনে সাবমিট দিতে হবে। সচিব সাহেবের কম্পিউটার ও অনলাইন সম্পর্কে ধারণা কম।'


প্রশাসক আরও বলেন, 'পুনরায় বরাদ্দ চেয়ে বিবিজি বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছি। এখন ফেরত দেবে কিনা জানিনা। ফেরত পেলে ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করা যেত।'



No comments