বগুড়ার শেরপুরে হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতার
বগুড়ার শেরপুরে হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতার।
স্টাফ রিপোর্টার :
বগুড়ার শেরপুরে প্রবাসী স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার জেরে প্রেমিক কে হত্যা কান্ডের ঘটনায় গত ৮ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১
ঘটিকার সময় থানায় মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন তাহার পিতা মোঃ শাহজাহান আলী ছেলে মৃত কাবিল উদ্দিন (৩৩) পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। শেরপুর উপজেলার গোসাইবাড়ী বটতলা বাজারে একটি ইলেকট্রনিক্স এর খুচরা দোকান আছে।
বাদির বাড়ি ও এজাহার নামীয় আসামী মোঃ সাইফুল ইসলাম এর বাড়ি পাশাপাশি। বাদির পরিবারের লোকজনের এই মামলার আসামী সাইফুল সহ তাহার পরিবারের লোকজনের সহিত ভালো সম্পর্ক। সেই সুবাদে মৃত কাবিল উদ্দিন বিভিন্ন প্রয়োজনে আসামী সাইফুল এর বাড়িতে যাতায়াত করতো এবং সাইফুলের ছেলের বউ এই মামলার আসামী মোছাঃ সুমাইয়া খাতুন এর সহিত মাঝে মধ্যে মোবাইল ফোনে কথা-বার্তা বলতো। মৃত কাবিল উদ্দিন এর যাতায়াত এবং মোবাইল ফোনে কথা বলার বিষয়টি আসামী সাইফুল সহ তাহার পরিবার ভালোভাবে নিতো না। এর ফলে আসামীগন শলাপরামর্শ করে গত ৭ এপ্রিল সোমবার রাত আনুমানিক ১১ ঘটিকার সময় আসামী সুমাইয়া খাতুন এর মাধ্যমে মৃত কাবিল উদ্দিনকে কৌশলে শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়ান এর হাটগাড়ি তালপট্টি গ্রামে আসামী সুমাইয়ার পিতার বাড়িতে ডাকিয়া নিয়ে আসে। মৃত কাবিল উদ্দিন ঘটনাস্থলে আসার সাথে সাথেই আসামীরা তাহাদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি, কাঠের বাটাম, লোহার রড, প্লাষ্টিকের পাইপ দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে কাবিল উদ্দিনকে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করিতে থাকেন।
এরপর আসামীগন কাবিল উদ্দিনের গামছা দ্বারা মুখ বাঁধিয়া ঘটনাস্থল হইতে আনুমানিক ৫০০গজ দুরে হাটগাড়ি ঈদগাহ মাঠের পূর্ব পাশে ইউক্যালিপটাস বাগানের ভিতর নিয়ে যায় এবং ইউক্যালিপটাস গাছের সহিত রশি দ্বারা হাত-পা বাঁধে।
পরে আসামীরা কাবিল উদ্দিনকে উপর্যুপরী আঘাত করিয়া গুরুত্বর ফাঁটা ও ক্ষত রক্তাক্ত জখম করেন। মৃত কাবিল উদ্দিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়িলে আসামীরা একটি অপরিচিত অটোরিক্সাযোগে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া যায়। সংবাদ পাইয়া বাদি সহ তাহার পরিবারের লোকজন গত ৮ এপ্রিল রাত আনুমানিক ৩টার সময় শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর জরুরী বিভাগে উপস্থিত হইলে আসামীরা হাসপাতাল হইতে দ্রুত পালাইয়া যায়। উক্ত বিষয়ে গত ৮ এপ্রিল রাতে শেরপুর থানার মামলা হয় যাহার মামলা নাম্বার ০৯, জিআর-৯৩, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়।
রাতেই অভিযান পরিচালনা করিয়া এজাহার নামীয় কুসুম্বি ইউনিয়নের গোসাইবাড়ী গ্রামের মোঃ সহিদুল ইসলাম প্রামানিক এর ছেলে মোঃ গোলাম আজম (২৮), আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, কাবিল হত্যাকাণ্ডের ১২ ঘণ্টার মধ্যে মূল রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার সহিত জড়িত এজাহার নামীয় আসামী গ্রেফতার হয়। তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে, তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে।

No comments