শিরোনাম

বগুড়া-২(শিবগঞ্জ): বিএনপির দুঃসময়ের কান্ডারী মীর শাহে আলম



বগুড়া প্রতিনিধিঃ 

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিগত দেড় যুগের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে উজ্জীবিত অবস্থায় রয়েছে বিএনপি। মাত্র এক মাস সময়ে দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারামুক্ত হয়েছেন, চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে; একের পর এক মামলা থেকে খালাস পেয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে; নেতাকর্মীরাও রাজনৈতিক মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসছেন। 

সব মিলিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে। সবমিলিয়ে বলা চলে বিএনপির এখন চলছে সুসময়। সুসময়ে দেখা মিলছে অনেক বিএনপি নেতার। এমন দেখা মিলছে বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলাতেও।

সুসময়ে এখন অনেককেই কৃতিত্বের ভাগিদার হতে আসছেন। কিন্তু দুঃসময়ে শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির মাঠে কে ছিল? কার অবদানে গত ১৭ বছর বিএনপি ঐক্যবদ্ধ থেকেছে এ উপজেলায়। এনিয়ে বিস্তারিত থাকবে এ প্রতিবেদনে।

দেশে গত ১৭ বছর বিরাজনীতিকরণের সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলম । দেশের রাজনীতির ক্রান্তিলগ্নে ও দুঃসময়ে শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির হাল ধরে মাঠে ছিলেন সক্রিয়। দলের বিভিন্ন দিবস, সভা-সমাবেশও করেছেন নেতাকর্মীদের নিয়ে। এবার এই নেতাকে নিয়ে স্বপ্ন বুনছেন নির্যাতিত নেতাকর্মীরা।

দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিগত ১৬ বছর দলের নেতাকর্মীরা হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। এসবের মধ্যে পাশে থেকে মীর শাহে আলম দিয়েছেন সাহস। কারাবন্দী নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের দায়িত্বসহ দলের নেতাকর্মীদের কারামুক্তির ব্যবস্থাও করেছেন তিনি।

দেশের রাজনীতির ক্রান্তিলগ্নে ও দুঃসময়ে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির হাল ধরে মাঠে ছিলেন সক্রিয়। দলের বিভিন্ন দিবস, সভা-সমাবেশও করেছেন নেতাকর্মীদের নিয়ে। এবার এই নেতাকে নিয়ে স্বপ্ন বুনছেন নির্যাতিত নেতাকর্মীরা। তাদের আশা দল থাকে নিরাশ করবে না দুঃসময়ের এই নেতাকে। 

তবে নেতা কর্মীদের অভিযোগ—বিগত ১৬ বছর ধরে এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন অনেক নেতা। অনেকে আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে আপোষ করে ব্যবসা-বানিজ্যে নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। বিএনপির পরিচয় পর্যন্ত দেননি। ছাত্রদল, যুবদলের নেতাকর্মীরা মিথ্যা মামলা নিয়ে আদালত পাড়ায় ঘুরেছেন, খবর পর্যন্ত নেননি কেউ। 

এ উপজেলার বিএনপির অনেক নেতা ডামি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের এমপি জিন্নাহর পক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছেন। এমনকি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান মানিকের নৌকা মার্কার পৌর নির্বাচনে প্রকাশ্যে আলোচনা সভা করে সমর্থন দিয়েছেন, ডামি উপজেলা নির্বাচনে রিজুর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। 

অথচ বিএনপির ডাকা হরতাল-অবরোধসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়নে কোনদিন কখনই মাঠে ছিল না। তারা কোন মুখ নিয়ে এখন বিএনপি দাবি করবেন? কিন্তু তারাও এখন বড় বিএনপি নেতা হিসেবে নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করছেন। চেষ্টা করছেন দুঃসময়ে দলের হাল ধরা উপজেলা বিএনপির বর্তমান কমিটিকে বিতর্কিত করার।

তবে বিএনপির তৃনমুল নেতাকর্মীদের জানান, হামলা-মামলা-নির্যাতন সহ্য করে বছরের পর বছর দল ও নেতাকর্মীদের বুক দিয়ে আগলে রেখেছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলম। 

নানা বাঁধা বিপত্তি, আওয়ামীলীগের ককটেল-হাত বোমা হামলা, প্রশাসনের বাঁধা উপেক্ষা করে লাখো মানুষের সমাগমে শিবগঞ্জে জনসমাবেশ করেছিলেন মীর শাহে আলম। সে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 

এছাড়াও মীর শাহে আলমের নেতৃত্বে হরতাল-অবরোধে বগুড়া টু রংপুর মহাসড়কসহ উপজেলাব্যাপী বিএনপির পক্ষে সরকারবিরোধী প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল। নানা প্রতিকুল পরিবেশ স্বত্ত্বেও  করোনা-কালীন শিবগঞ্জ উপজেলাবাসীর পিছে দাঁড়িয়েছিলেন মীর শাহে আলম। এজন্য হাসিনা সরকারের ১৭ টি মিথ্যা মামলা খেয়েছিলেন তিনি। 

একাধিকবার করেছেন কারাবারণ। পুলিশের হাতে হয়েছেন নির্যাতনের শিকার। মামলা-হামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীদের জামিন করানো, পরিবারের পাঁশে দাঁড়ানোসহ সব দায়িত্ব পালন করে তিনি আজ শিবগঞ্জ উপজেলার জনপ্রিয় জননেতায় পরিণত হয়েছেন। 

দেউলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওসমান গনি ও কিচক ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর হাসিনা ও তার দোসরদের কঠিন নির্যাতন উপেক্ষা করে মীর শাহে আলম তৃণমুল নেতা-কর্মী ও জনগণের পাঁশে দাঁড়িয়েছেন। তার নেতৃত্বে শিবগঞ্জ বিএনপি এক ও ঐক্যবদ্ধ।

এ বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলম বলেন, দলের দুঃসময়ে দলের পাঁশে সাধ্যমতো থাকার চেষ্টা করেছি। শেষ জীবন পর্যন্ত শহীদ জিয়ার আদর্শ বুকে নিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বে অবিচল থাকবো ইনশাআল্লাহ।

No comments