শিরোনাম

৩২ শিক্ষক মিলে ১২ শিক্ষার্থীকে পাস করাতে পারলেন না! বগুড়ার দুই কলেজে এইচএসসিতে ‘শূন্য’ পাস

বগুড়া প্রতিনিধিঃ

বগুড়ার দুই কলেজে এইচএসসি পরীক্ষায় একটিও পাস হয়নি! ৩২ জন শিক্ষক পড়িয়েছেন, অথচ ১২ শিক্ষার্থীই ফেল। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) প্রকাশিত ফলাফলে এ চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে।

ফলাফলের এই চরম ব্যর্থতা দেখা গেছে কাহালু উপজেলার আল্লামের তাকিয়া হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ি মহিলা কলেজে। দুটি প্রতিষ্ঠানেরই পাসের হার শতভাগ শূন্য!

কাহালুর আল্লামের তাকিয়া হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে সাতজন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। ২০১৫ সালে কলেজ শাখা চালু হলেও এবারের ফলাফল প্রতিষ্ঠানটির ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ। সেখানে ১৪ জন শিক্ষক রয়েছেন। অথচ তাদের পড়ানো সাত শিক্ষার্থীই অকৃতকার্য।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ টি. এম. ফেরদৌস আলম বলেন, “যে সাতজন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে তারা সবাই কর্মজীবী। তাদের বই কিনে দেওয়া, ফরম ফিলাপসহ সব সহযোগিতা করা হয়েছিল। কিন্তু কেউই মনোযোগী ছিল না। ফলাফল সত্যিই হতাশাজনক।”

অন্যদিকে ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ি মহিলা কলেজেও একই চিত্র। মানবিক বিভাগের পাঁচজন পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও কেউ পাস করতে পারেনি। কলেজটিতে রয়েছেন ১৮ জন শিক্ষক।

কলেজের অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আমাদের বেতন নিয়মিত আসে না, শিক্ষার্থীরাও ক্লাসে আসে না। শুনেছি একজন পাস করেছে, তবে এখনো বোর্ডের ফলাফল দেখি নাই।”

বগুড়া জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দ বলেন, “দুই কলেজের ফলাফল আমরা খতিয়ে দেখছি। শিক্ষার মান ও শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতা নিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

শিক্ষাবিদদের মতে, এ ফলাফল শুধু শিক্ষার্থীর নয়, পুরো শিক্ষাব্যবস্থার জন্যই একটি লজ্জাজনক ব্যর্থতা।

No comments